আলিপুরে ফের মৃত্যুমিছিল! মাত্র ৩ মাসেই প্রাণ হারাল ৩টি বাঘিনী, খাঁ খাঁ করছে হলুদ-কালো ডেরা।

দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে এল অত্যন্ত দুঃসংবাদ। ফের এক রাজকীয় রয়্যাল বেঙ্গল বাঘিনীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া পশুপ্রেমীদের মনে। গত তিন মাসের মধ্যে এই নিয়ে তিনটি বাঘিনীর মৃত্যু হলো আলিপুরে।
অকালেই বিদায় ‘তৃপ্তি’-র: গত বছর ওড়িশার নন্দনকানন থেকে প্রজননের উদ্দেশ্যে কলকাতায় আনা হয়েছিল বাঘিনী তৃপ্তিকে। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে তার তিন বছর পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই ঘটে গেল অঘটন। বুধবার ভোররাতে আলিপুর চিড়িয়াখানার পশু হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে সে।
মৃত্যুর কারণ নিয়ে দানা বাঁধছে রহস্য: চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর, গত ৪-৫ দিন ধরে মারাত্মক জ্বরে ভুগছিল বাঘিনীটি। প্রাথমিক পরীক্ষায় ধরা পড়েছে, সে ‘হেমোপ্রোটোজোয়ান প্যারাসাইট’ (Hemoprotozoan Parasite) বা রক্তে বাসা বাঁধা এক ধরণের পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত ছিল। চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও বুধবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্ত করা হয়েছে এবং ভিসেরা পাঠানো হয়েছে ল্যাবে।
শূন্য হচ্ছে আলিপুরের খাঁচা: তৃপ্তির মৃত্যুর পর আলিপুর চিড়িয়াখানায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা কমে দাঁড়াল মাত্র তিনে। এর মধ্যে বাঘিনী রইল মাত্র একটি। প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসেই মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ‘পায়েল’ ও ‘রূপা’ নামে দুই প্রবীণ বাঘিনীর মৃত্যু হয়েছিল। তবে তৃপ্তির মতো এক যুবতী বাঘিনীর এমন অকাল মৃত্যুতে কর্তৃপক্ষের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকে।
শীতের মরশুমে যখন পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ছে, তখন একের পর এক বাঘিনীর মৃত্যু চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।