মেসির মঞ্চে বোতলবৃষ্টির নেপথ্যে কারা? যুবভারতীর ফুটেজ দেখে ‘ভিলেন’ খুঁজছে সিট (SIT)!

তিলোত্তমায় লিওনেল মেসির মেগা ইভেন্টে বিশৃঙ্খলার সেই ছবি কি ভোলার নয়? মাঠের উত্তেজনার চেয়েও গ্যালারির বোতলবৃষ্টি আর বিশৃঙ্খলা নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা হয়েছে। সেই রাতের ‘ডার্ক চ্যাপ্টার’ উন্মোচনেই এবার কোমর বেঁধে নামল রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট (SIT)।

সিসিটিভি ফুটেজে মিলল প্রথম ক্লু: তদন্তকারী দল ইতিমধ্যেই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের গত ১৩ ডিসেম্বরের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ফুটেজ থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট— বিশৃঙ্খলার সূত্রপাত হয়েছিল স্টেডিয়ামের ‘লোয়ার টিয়ার’ থেকে। নিচ থেকেই প্রথম জলের বোতল ছোড়া শুরু হয়, যা পরে ঝড়ের গতিতে অন্য ব্লকগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। এখন সেই ফুটেজ জুম করে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে, ঠিক কোন মাথাগুলি এই অশান্তিতে ইন্ধন দিয়েছিল।

মাঠে ফরেন্সিক টিম, খতিয়ে দেখা হচ্ছে গ্রাউন্ড কার্ড: তদন্তের জাল সিসিটিভি-র বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। এদিন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা স্টেডিয়াম ঘুরে দেখেন এবং নমুনা সংগ্রহ করেন। ভাঙা গ্যালারি থেকে পড়ে থাকা জলের বোতল— প্রতিটি খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে ‘গ্রাউন্ড অ্যাক্সেস কার্ড’। কাদের হাতে ওই কার্ড ছিল এবং কারা সীমানা ছাড়িয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিল, তার তালিকা তৈরি হচ্ছে।

আরও শক্তিশালী হচ্ছে সিট (SIT): এই তদন্তের গুরুত্ব বুঝে রাজ্য পুলিশ তাদের বিশেষ দলের সদস্য সংখ্যা ৪ থেকে বাড়িয়ে ৮ করার পরিকল্পনা করেছে। বর্তমানে এই হাই-প্রোফাইল দলে রয়েছেন:

নিরাপত্তা অধিকর্তা পীযূষ পাণ্ডে

এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম

এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার

ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা

ডিএসপি পদমর্যাদার আরও একজন দুঁদে আধিকারিককে এই দলে আনা হতে পারে। নিরাপত্তার ফাঁক কোথায় ছিল এবং আয়োজক থেকে দর্শক— কাদের ভুলে বিশ্ব ফুটবলের মহাতারকার সামনে বাংলার সম্মান ক্ষুণ্ণ হল, তা কয়েক দিনের মধ্যেই প্রকাশ্যে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।