UP–তে বাদ পড়তে পারে ৪ কোটি নাম, SIR নিয়ে উদ্বিগ্ন খোদ যোগী আদিত্যনাথ

যে অনুপ্রবেশকারী তত্ত্ব নিয়ে বরাবর সরব থেকেছেন যোগী আদিত্যনাথ, এবার সেই ‘সার’ (SAR) বা ভোটার তালিকা যাচাই প্রক্রিয়াতেই ব্যাকফুটে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচন কমিশনের খসড়া প্রকাশের আগেই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে— উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রায় ৪ কোটিরও বেশি ভোটারের নাম বাদ যেতে চলেছে। আর এই বিপুল সংখ্যক ভোটারই বিজেপির ‘ভোটব্যাঙ্ক’ বলে মনে করছেন যোগী স্বয়ং।

বিজেপির কপালে চিন্তার ভাঁজ: আগামী ৩১ ডিসেম্বর ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করার কথা কমিশনের। কিন্তু প্রাথমিক হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ৩ কোটি ১৭ লক্ষ নাম তালিকা থেকে কাটা পড়েছে। আগামী ১০ দিনে এই সংখ্যা ৪ কোটির গণ্ডি ছাড়িয়ে যেতে পারে। সোমবার দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে যোগী আদিত্যনাথ নিজের উদ্বেগ লুকিয়ে রাখতে পারেননি। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, “যাদের নাম বাদ যাচ্ছে, তাদের ৯০ শতাংশই বিজেপির ভোটার।”

বিপদের কারণ ‘স্থানান্তরিত ভোটার’: শুধু নাম বাদ যাওয়াই নয়, প্রায় ১ কোটি ২৭ লক্ষ ভোটার শহর ছেড়ে গ্রামে চলে গিয়েছেন বলে কমিশনের তথ্যে উঠে এসেছে। উত্তরপ্রদেশে মূলত শহরের ভোট বিজেপির ঝুলিতে যায়, তাই এই বিপুল সংখ্যক ভোটারের স্থানান্তর যোগী প্রশাসনের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। তড়িঘড়ি পঙ্কজ চৌধুরী ও যোগী নির্দেশ দিয়েছেন, সব কাজ ফেলে বুথে বুথে গিয়ে ভোটারদের ফর্ম ফিল-আপ ও ভেরিফিকেশনে সাহায্য করতে হবে।

পাল্টা আক্রমণে অখিলেশ যাদব: বিজেপির এই আতঙ্ক দেখে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। তাঁর দাবি, পিডিএ (পিছড়েবর্গ, দলিত, আদিবাসী) প্রহরীরা কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বলেই বিজেপি এবার আর ‘ভোটচুরি’ করতে পারছে না। তিনি অভিযোগ তোলেন, বিজেপির স্বার্থেই কমিশনের ডেডলাইন বাড়ানো হয়েছে।

অনুপ্রবেশকারী তত্ত্ব বনাম বাস্তবতা: যোগী আদিত্যনাথ অবশ্য এখনও দাবি করছেন যে, সপা-র প্রহরীরা ভুয়ো অনুপ্রবেশকারীদের নাম তালিকাভুক্ত করাচ্ছে। ফলে বুথ স্তর থেকে নিজেদের ভোটারদের খুঁজে বের করে পুনরায় নাম তোলানোর জন্য বিজেপি কর্মীদের যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাজনৈতিক মহলের মতে, বিহারের ভোটার তালিকার প্রভাব উত্তরপ্রদেশেও পড়তে চলেছে। এখন দেখার, বছরের শেষ দিনে প্রকাশিত খসড়া তালিকা যোগী আদিত্যনাথের জন্য কত বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।