রেলযাত্রীদের জন্য বিরাট সুখবর! বদলে যাচ্ছে ট্রেনের রিজার্ভেশন চার্টের নিয়ম, কমবে ওয়েটিং লিস্টের টেনশন

দূরপাল্লার ট্রেনে ওয়েটিং লিস্টে থাকা যাত্রীদের জন্য বড়সড় স্বস্তির খবর নিয়ে এল ভারতীয় রেল। ট্রেনের রিজার্ভেশন চার্ট (Train Reservation Chart) প্রকাশ নিয়ে এবার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রেল বোর্ড। শেষ মুহূর্তের দুশ্চিন্তা কমাতে এবং যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বাড়াতে চার্ট প্রকাশের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
কেন এই পরিবর্তন?
এতদিন পর্যন্ত রেলের নিয়ম অনুযায়ী, ট্রেন ছাড়ার মাত্র ৪ ঘণ্টা আগে চূড়ান্ত রিজার্ভেশন চার্ট প্রকাশ করা হতো। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, দূরপাল্লার যাত্রীরা ৪ ঘণ্টা আগেই বাড়ি থেকে স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মাঝরাস্তায় বা স্টেশনে পৌঁছানোর পর যদি জানা যায় টিকিট কনফার্ম হয়নি, তবে চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় তাঁদের। যাত্রীদের এই দীর্ঘদিনের সমস্যার কথা মাথায় রেখেই চার্ট প্রকাশের সময় এগিয়ে আনার এই ইঙ্গিত মিলেছে।
কোন কোন ট্রেনের ক্ষেত্রে এই সুবিধা?
রেল সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে প্রিমিয়াম এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলোতে এই নতুন ব্যবস্থা কার্যকর হতে পারে। তালিকায় রয়েছে:
রাজধানী এক্সপ্রেস
শতাব্দী এক্সপ্রেস
দুরন্ত এক্সপ্রেস
অন্যান্য দূরপাল্লার মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন
সুবিধা কী হবে?
ডিজিটাল বুকিং ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের ফলে এখন দ্রুত চার্ট তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। চার্ট আগে প্রকাশ হলে: ১. ওয়েটিং লিস্টে থাকা যাত্রীরা আগেভাগেই জানতে পারবেন তাঁদের টিকিট কনফার্ম হয়েছে কি না। ২. টিকিট কনফার্ম না হলে যাত্রীরা বিকল্প ট্রেনের ব্যবস্থা বা যাত্রা বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় পাবেন। ৩. স্টেশনে গিয়ে ভিড় করার বা শেষ মুহূর্তে কুলি ও ব্যাগ নিয়ে ছোটাছুটি করার মানসিক চাপ কমবে।
রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
রেলের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের কথায়, “যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যই আমাদের অগ্রাধিকার। চার্ট আগে প্রকাশ হলে যাত্রীরা মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে পারবেন।” যাত্রী সংগঠনগুলিও রেলের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। বিশেষ করে উৎসবের মরসুমে যখন টিকিটের আকাল থাকে, তখন এই সিদ্ধান্ত গেম-চেঞ্জার হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
খুব শীঘ্রই রেল বোর্ডের তরফে এই সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশিকা জারি করা হতে পারে। কবে থেকে এবং ঠিক কত ঘণ্টা আগে চার্ট প্রকাশ হবে, তা নিয়ে এখন চূড়ান্ত ঘোষণার অপেক্ষায় কয়েক কোটি রেলযাত্রী।