SIR-হিয়ারিংয়ে কারা নিশ্চিত ডাক পাবেন? জানিয়ে দিলো নির্বাচন কমিশন

রাজ্য রাজনীতিতে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে খসড়া ভোটার তালিকা (Draft Voter List)। আর এই তালিকা ঘিরে এবার বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হচ্ছে ভোটারদের হিয়ারিং (Hearing) বা শুনানি প্রক্রিয়া। কিন্তু প্রশ্ন হল, কাদের ডাকা হবে এই শুনানিতে? কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, যাঁদের নাম তালিকায় থাকলেও তথ্যে অসঙ্গতি রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেককে নোটিস পাঠানো হবে।
কাদের বাড়িতে যাবে কমিশনের নোটিস? নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, মূলত ‘নো ম্যাপিং ভোটার’ (No Mapping Voters)-দের প্রথমে তলব করা হচ্ছে। অর্থাৎ, ২০০২ সালের ভোটার লিস্টের সঙ্গে বর্তমান তথ্যের কোনও যোগসূত্র যাঁরা দেখাতে পারেননি, তাঁদেরই এই শুনানির মুখোমুখি হতে হবে। রাজ্যে এমন ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৩০ লক্ষ ৫৯ হাজার ২৭৩ জন। এই বিশাল সংখ্যক মানুষকে নিজেদের নাগরিকত্বের সপক্ষে নথি নিয়ে হাজিরা দিতে হবে।
সন্দেহের তালিকায় ১ কোটির বেশি ভোটার! শুধু ৩০ লক্ষ নয়, কমিশনের স্ক্যানারে রয়েছেন আরও প্রায় ১ কোটি ৩৬ লক্ষ ভোটার। এঁরা প্রত্যেকেই এনুমারেশন ফর্ম জমা দিলেও তাঁদের দেওয়া তথ্যে গভীর সন্দেহ রয়েছে কমিশনের। সূত্র মারফত খবর, বিএলও (BLO) কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুনরায় তথ্য যাচাই করবেন। এরপরও যদি আধিকারিকদের সন্দেহ দূর না হয়, তবে তাঁদেরও তলব করা হতে পারে শুনানিতে।
কোথায় হবে শুনানি এবং কী নথি লাগবে?
-
স্থান: ভোটারদের সুবিধার্থে প্রতিটি বিধানসভা এলাকার কাছাকাছি কোনও নির্দিষ্ট সরকারি ভবনে এই শুনানি প্রক্রিয়া চলবে।
-
প্রয়োজনীয় নথি: SIR প্রক্রিয়ার শুরুতে কমিশন যে নথির তালিকা প্রকাশ করেছিল, তার মধ্যে অন্তত একটি নথি দেখানো বাধ্যতামূলক। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী একাধিক নথিও চাওয়া হতে পারে।
সময়সীমা এবং বিশেষ ছাড়: নোটিস পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে শুনানির জন্য উপস্থিত হতে হবে। তবে জরুরি কারণে কেউ উপস্থিত হতে না পারলে, তাঁকে অতিরিক্ত সময় দেওয়ার সংস্থানও রাখা হয়েছে। বিশেষ সুবিধা পাবেন প্রবীণরা; ৮৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ভোটারদের ক্ষেত্রে বিএলও-রা সরাসরি বাড়িতে গিয়েই হিয়ারিংয়ের কাজ সম্পন্ন করবেন।
ফাইনাল ভোটার লিস্টে নিজের নাম নিশ্চিত করতে এই হিয়ারিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।