ভোটের তালিকায় নাম নিয়ে বড় ধন্দ! কবে থেকে শুরু হচ্ছে হিয়ারিং? জেনে নিন নোটিস পাওয়ার পদ্ধতি

পশ্চিমবঙ্গের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই সাধারণ মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ। তালিকায় নাম না থাকা ব্যক্তিদের হিয়ারিং নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিলই, কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে—যাঁদের নাম তালিকায় আছে, তাঁরাও পুরোপুরি নিশ্চিন্ত থাকতে পারছেন না। তথ্যে সামান্যতম গরমিল বা কোনো সন্দেহ থাকলে যে কাউকেই হিয়ারিংয়ের জন্য ডেকে পাঠাতে পারে নির্বাচন কমিশন।

কাদের ডাকবে কমিশন? কমিশন সূত্রে খবর, আপনার দেওয়া কোনো তথ্য নিয়ে যদি নির্বাচন আধিকারিকদের বিন্দুমাত্র সন্দেহ হয়, তবে আপনার ঠিকানায় সরাসরি পৌঁছাবে ‘সমন’ বা হাজিরা দেওয়ার নোটিস। নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে আপনাকে আপনার নথিপত্র যাচাই করিয়ে আসতে হবে।

কবে থেকে শুরু হচ্ছে হিয়ারিং? ১৬ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। কমিশন এখনও হিয়ারিংয়ের কোনো নির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণা না করলেও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে:

১৭ ডিসেম্বর থেকে ২২ বা ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে নোটিস পাঠানোর কাজ চলবে।

বড়দিন বা ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই পুরোদমে হিয়ারিং শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কীভাবে জানবেন আপনার ডাক পড়েছে কি না? কমিশন সাধারণত দুটি পদ্ধতিতে ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে: ১. BLO-র মাধ্যমে: আপনার এলাকার বুথ লেভেল অফিসার (BLO) সরাসরি আপনার বাড়িতে নোটিস বা সমন পৌঁছে দেবেন। সেখানেই লেখা থাকবে আপনাকে কবে এবং কোথায় উপস্থিত হতে হবে। ২. মোবাইল মেসেজ: ভোটার কার্ডের সঙ্গে আপনার মোবাইল নম্বর লিঙ্ক করা থাকলে সরাসরি এসএমএস (SMS)-এর মাধ্যমেও আপনাকে সতর্ক করা হতে পারে।

ভোটারদের জন্য পরামর্শ: তালিকায় নাম থাকার পরেও অযথা আতঙ্কিত হবেন না। তবে নিজের মোবাইল ফোনটি চেক করুন এবং এলাকার বিএলও-র সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। কোনো সমন এলে নির্দিষ্ট নথি (যেমন আধার কার্ড, জন্মের শংসাপত্র বা ঠিকানার প্রমাণপত্র) নিয়ে সময়মতো হাজিরা দেওয়া বাধ্যতামূলক, অন্যথায় আপনার নাম তালিকা থেকে বাদ যেতে পারে।