১৫ বছর ধরে ‘ডবল’ ভোট? তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলরের নাম নিয়ে বড় কেলেঙ্কারি ধূপগুড়িতে!

ভোটার তালিকায় স্বচ্ছতা আনতে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ অভিযান (SIR) শুরু হতেই ধূপগুড়িতে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। অভিযোগ উঠেছে, তৃণমূল কংগ্রেসের এক প্রাক্তন কাউন্সিলরের নাম গত ১৫ বছর ধরে একই ওয়ার্ডের দুটি আলাদা পার্টে নথিভুক্ত রয়েছে। সরকারি তালিকায় এই ‘ডবল’ এন্ট্রি ধরা পড়তেই সরগরম হয়ে উঠেছে স্থানীয় রাজনীতি।
ঠিক কী ঘটেছে? ধূপগুড়ি পুরসভা এলাকায় ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলাকালীন দেখা যায়, ওই প্রাক্তন কাউন্সিলরের নাম একই ওয়ার্ডের দুটি ভিন্ন পার্ট নম্বরে জ্বলজ্বল করছে। বিরোধীদের অভিযোগ, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই অনিয়ম চলে আসছে। একজন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির নাম কীভাবে দুই জায়গায় থাকে এবং এতদিন তা কেন সংশোধন করা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপি ও বাম শিবির।
তৃণমূল নেত্রীর পালটা দাবি অভিযোগের তির যাঁর দিকে, সেই তৃণমূল নেত্রী অবশ্য যাবতীয় কারচুপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি:
তিনি কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে নাম দু-জায়গায় রাখেননি।
অনেক আগেই একটি পার্ট থেকে নাম কাটার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন।
ভোটার তালিকা তৈরির সময় প্রশাসনের গাফিলতিতেই হয়তো নামটি রয়ে গিয়েছে।
রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন বিরোধীদের দাবি, SIR বা স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন না হলে হয়তো এই কারচুপি জানাই যেত না। বিশেষ করে যেখানে মতুয়া গড় বা সীমান্ত এলাকায় ভোটারদের নথি নিয়ে কড়াকড়ি চলছে, সেখানে খোদ প্রাক্তন কাউন্সিলরের এমন নথিতে বিরোধীরা ‘ভোট জালিয়াতি’র গন্ধ পাচ্ছেন।
ধূপগুড়ি প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খসড়া তালিকায় কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। তবে ১৫ বছরের এই ‘ভুল’ কি নেহাতই প্রযুক্তিগত ত্রুটি নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনো গল্প আছে, তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে চা-চক্রের আড্ডায়।