“হাতির সঙ্গে ফুটবল খেললেন মেসি”-আম্বানির ‘বনতারা’য় করলেন শিবপুজোও

যুবভারতীতে প্রদর্শনী ম্যাচের পর এবার গুজরাতের জামনগরে অনন্ত আম্বানির বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ কেন্দ্র ‘বন্তারা’ (Vantara) ঘুরে দেখলেন বিশ্ব ফুটবলের কিংবদন্তি লিওনেল মেসি। শুধু বন্যপ্রাণ নয়, মন্দির এবং প্রকৃতির মাঝে ভারতীয় রীতিনীতির সঙ্গে পরিচিত হয়ে বেশ কিছু আবেগঘন মুহূর্ত কাটালেন এই তারকা ফুটবলার।
ভারতীয় রীতিতে মহাআরতি ও লোকসঙ্গীতের মাধ্যমে মেসিকে স্বাগত জানানো হয়। অনন্ত আম্বানি সনাতন ধর্মে প্রকৃতি ও জীবজগতের প্রতি শ্রদ্ধার যে ভাবনা রয়েছে, তা তুলে ধরেন মেসির সামনে।
🕉️ শিবপুজো ও মহাআরতিতে বিশ্বশান্তির প্রার্থনা
জানা গেছে, বন্যপ্রাণ কেন্দ্রে থাকা মন্দিরে পুজোও দেন মেসি। তিনি অম্বে মাতা পুজো, গণেশ পুজো, হনুমান পুজো এবং শিব অভিষেকে অংশ নেন। সতীর্থদের সঙ্গে মহাআরতিতে যোগ দিয়ে বিশ্বশান্তি ও ঐক্যের জন্য প্রার্থনাও করেন এই বিশ্বজয়ী অধিনায়ক। ভারতের এই উষ্ণ আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছেন মেসি।
মেসির সঙ্গে ছিলেন তাঁর ইন্টার মায়ামির সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ এবং রদ্রিগো দে পল। এই তিনজনকেই ফুলের বর্ষণ ও আরতির মাধ্যমে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ কেন্দ্রে স্বাগত জানানো হয়।
🐅 বাঘের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও ‘লিওনেল’ নামকরণ
পুজো দেওয়ার পর মেসি বন্যপ্রাণ কেন্দ্রটি ঘুরে দেখেন। বন্তারায় মূলত বন্যপ্রাণ উদ্ধার, পুনর্বাসন ও সংরক্ষণ করা হয়। সেখানকার বিগ ক্যাট কেয়ার সেন্টারে গিয়ে মেসি বাঘ এবং চিতাবাঘকে খুব কাছ থেকে দেখেন। কৃত্রিমভাবে তৈরি বন্য পরিবেশে কীভাবে এই প্রাণীদের দেখভাল করা হচ্ছে, তা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি।
-
ওকাপি, গণ্ডার, জিরাফ ও হাতিদের নিজের হাতে খাবার খাওয়ান মেসি।
-
ফস্টার কেয়ার সেন্টারে অনাথ ও দুর্বল বন্যপ্রাণীদের বিষয়ে বিভিন্ন গল্প শোনেন।
-
সবচেয়ে আবেগঘন মুহূর্তটি আসে যখন অনন্ত ও রাধিকা মার্চেন্টের তরফে একটি শাবক সিংহের নাম রাখা হয় ‘লিওনেল’, যা মেসির প্রতি তাঁদের বিশেষ সম্মান।
-
এলিফ্যান্ট কেয়ার সেন্টারে উদ্ধার হওয়া হাতির শাবক ‘মণিকালাল’-এর সঙ্গে ফুটবল খেলতেও দেখা যায় মেসিকে।
বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে বন্তারার এই কাজকে ‘সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক’ বলে মন্তব্য করেছেন মেসি। স্প্যানিশে তিনি বলেন, এই অভিজ্ঞতা তিনি আজীবন মনে রাখবেন এবং ভবিষ্যতেও এই উদ্যোগকে সমর্থন জানাতে আবারও আসতে চান।