যুবভারতী কাণ্ডে ‘বিরাট ষড়যন্ত্রের’ গন্ধ পেলেন কুণাল ঘোষ, ‘দর্শকদের বাধা দিয়ে উত্তেজনা তৈরি করা হয়েছিল’, দাবি তৃণমূল নেতার

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসি-কাণ্ডের ঘটনায় আরও একবার ‘ষড়যন্ত্রের’ তত্ত্ব তুলে ধরলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এর আগেও তিনি এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের প্রশ্ন তুলেছিলেন। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে আরও একবার একই প্রসঙ্গে সন্দেহ প্রকাশ করলেন তিনি।

কুণাল ঘোষ বলেন, “যুবভারতীর ঘটনায় একটা বিরাট ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।”

কেন্দ্রীয় বাহিনী ও আয়োজকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

কুণাল ঘোষ তাঁর সন্দেহের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, “আপনি কলকাতায় দেখলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী ও বেসরকারি আয়োজকদের নিরাপত্তারক্ষীরা ভিমরুলের চাকের মতো মেসিকে ঘিরে ধরল। অথচ হায়দরাবাদ, মুম্বই আর দিল্লিতে তারা নেই। দর্শকরা দেখতে পাচ্ছেন। তাহলে কি এটা কোনও প্লট ছিল যে দর্শকদের বাধা দিয়ে উত্তেজনা তৈরি করো, আর নিজেদের লোক ঢুকিয়ে গণ্ডগোল করো।”

তিনি স্বীকার করেন যে ফুটবলপ্রেমীদের আঘাত লেগেছে। তবে তাঁর মতে, “একটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র থাকার সম্ভাবনা থাকা সত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজধর্ম পালন করলেন।”

প্রসঙ্গত, গত শনিবার যুবভারতীতে মেসিকে দেখতে না পেয়ে একাংশ দর্শক ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং মাঠে ঢুকে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করেন। সেই সময় কুণাল ঘোষ নিজেই দুঃখ প্রকাশ করে একটি ভিডিয়ো পোস্টে লিখেছিলেন, ‘কলকাতা পারল না’, এমনকি ‘এত হ্যাংলামীর কি প্রয়োজন ছিল’ বলেও প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু এরপরই তিনি তাঁর সুর পাল্টে সন্দেহের কথা প্রকাশ করতে শুরু করেন যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা। মঙ্গলবারও তিনি সেই ষড়যন্ত্রের তত্ত্বকেই আরও জোরালো করলেন।