এবার শুরু হবে SIR হিয়ারিং, জেনেনিন কাদের ডাকা হবে? জানিয়ে দিলো কমিশন

আজ প্রকাশিত হতে চলেছে খসড়া ভোটার তালিকা। এরপর বুধবার অর্থাৎ আগামীকাল থেকেই শুরু হচ্ছে ‘হিয়ারিং’ বা শুনানির পর্ব। এই শুনানিতে নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট কিছু ভোটারকে ডেকে তাদের কাছে প্রয়োজনীয় নথি যাচাই করবে। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, সেই নথি দেখাতে পারলেই নাম সুরক্ষিত থাকবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায়।
কিন্তু এই হিয়ারিংয়ে কাদের ডাকা হবে? নির্বাচন কমিশন স্পষ্টভাবে জানিয়েছে সেই ৫টি কারণ, যেগুলির জন্য একজন ভোটারকে শুনানিতে ডাকা হতে পারে। ভোটের আগে চূড়ান্ত তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার আশঙ্কা থাকলে, ঝটপট জেনে নিন এই কারণগুলি:
১. ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম না থাকা: যদি আপনার বা আপনার পরিবারের কারও নাম ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে না থাকে, তবে অতিরিক্ত যাচাইয়ের জন্য কমিশন আপনাকে ডাকতে পারে। সেক্ষেত্রে কমিশনের চাওয়া ১১টি নির্দিষ্ট নথির মধ্যে যেকোনো একটি দেখাতে হবে।
২. বাবা-মায়ের কারও নাম ভোটার তালিকায় না থাকলে: যদি আবেদনকারী এবং তার বাবা-মা বা দাদু-দিদার কারওরই নাম ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে বা বর্তমান তালিকায় না থাকে, তবে তাদেরও শুনানিতে ডাকা হবে। এই পরিস্থিতিতে আধার কার্ড ছাড়া ১১টি নথির মধ্যে একটি প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।
৩. ভুল তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ: যদি কোনো ভোটার ‘এসআইআর’ (SIR) ফর্মে ভুল তথ্য বা মিথ্যা বিবরণ দিয়ে থাকেন, তবে কমিশন তাদের শুনানির জন্য ডাকবে। সেক্ষেত্রে ওই ভোটারকে সরাসরি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে এবং সঠিক তথ্য প্রমাণ হিসেবে জমা দিতে হবে।
৪. তথ্যের অস্পষ্টতা: অনেক সময় ফর্মের তথ্য এমনভাবে লেখা হয় যে ‘বিএলও’ (BLO) বা ‘ইআরও’ (ERO)-এর বুঝতে সমস্যা হয়। তথ্যের এই অস্পষ্টতা বা জটিলতা থাকলে কমিশন ভোটারকে ডেকে তথ্য যাচাই করতে পারে।
৫. বাবা-মায়ের বয়সের ব্যবধান ১৫ বছরের বেশি: কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, যদি বাবা-মায়ের বয়সের ব্যবধান ১৫ বছর বা তার বেশি হয়, তবে সেই আবেদনকারীকে হিয়ারিংয়ে ডাকা হতে পারে। এক্ষেত্রেও নথিপত্র যাচাই করা হবে।
এছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে কমিশনের সন্দেহ হলেও ভোটারকে শুনানির জন্য ডাকা হতে পারে।
করণীয় কী? হিয়ারিং নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। নিজের দাবির স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় নথিগুলি আগেভাগেই গুছিয়ে রাখুন। প্রমাণপত্র দেখাতে পারলে ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হতে চলা ফাইনাল ভোটার লিস্টে আপনার নাম অবশ্যই থাকবে।