রাজ্যের উচ্চশিক্ষা বিতর্কে বড় ধাক্কা! বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত দুটি সংশোধনী বিলে সম্মতি দিলেন না রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু!

রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকার ও রাজভবনের মধ্যে চলমান রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বিতর্কের আবহে এবার বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। রাজ্য-সহায়তাপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত দু’টি সংশোধনী বিলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্মতি দেননি। ফলে রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত ওই দুটি সংশোধনী আইন আপাতত কার্যকর হচ্ছে না। এই সিদ্ধান্তে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

বিলগুলির মূল উদ্দেশ্য: রাজ্য সরকারের তরফে পেশ করা এই সংশোধনী বিলগুলির মূল লক্ষ্য ছিল রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রাজ্যপাল তথা আচার্যের ক্ষমতা পরিবর্তন বা সীমিত করা। বর্তমানে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে রয়েছেন রাজ্যপাল। সংশোধনী বিলের মাধ্যমে উপাচার্য নিয়োগ, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ভূমিকা আরও বাড়ানোর প্রস্তাব ছিল।

রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের প্রভাব: রাষ্ট্রপতির সম্মতি না পাওয়ায় রাজ্য সরকারের সেই প্রস্তাবগুলি আপাতত বাস্তবায়িত হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের উচ্চশিক্ষা প্রশাসনে স্থিতাবস্থা বজায় রাখবে। গত কয়েক বছর ধরে উপাচার্য নিয়োগ, প্রশাসনিক ক্ষমতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বশাসন নিয়ে রাজ্য সরকার ও রাজভবনের মধ্যে তীব্র টানাপড়েন চলছে। সংশোধনী বিলগুলিকে সেই সংঘাতের প্রেক্ষাপটে রাজ্য সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছিল, যা আপাতত থেমে গেল।

আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, রাজ্য সরকার যে সংশোধনী বিল দুটি পেশ করেছিল, সেগুলি সংবিধানগত কাঠামোর সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। সংবিধান নির্ধারিত কর্তৃত্ব ও ক্ষমতার পুনর্বিন্যাসের প্রশ্ন জড়িত থাকাতেই রাষ্ট্রপতির সম্মতি পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়েছে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন ছাড়া এই ধরনের কোনো রাজ্য আইন কার্যকর হওয়া সম্ভব নয়।