২০২১ সালে উদ্বোধনের পরও দিনের পর দিন বঞ্চিত মাতলা স্টেশন, অতিরিক্ত ট্রেন দাঁড় করানোর দাবি জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলের

উত্তর ২৪ পরগনার ক্যানিং লাইনের মাতলা হল্ট স্টেশন নিয়ে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে আবারও ক্ষোভ প্রকাশ করলেন জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। ঘটা করে উদ্বোধন হলেও এই স্টেশনে সারা দিনে মাত্র দুই জোড়া (মোট চারটি) ট্রেন দাঁড়ানোর কারণে এলাকার হাজার হাজার মানুষকে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

সাংসদের অভিযোগ: বৃহস্পতিবার প্রশ্নোত্তর পর্বে জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল রেলমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন। তিনি জানান, শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ক্যানিং লাইনের মাতলা স্টেশনটি ২০২১ সালে উদ্বোধন হওয়ার পর থেকেই বঞ্চিত। এলাকার মানুষ এই স্টেশন চালু হওয়ায় খুশি হলেও, সেই খুশি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি।

সাংসদ অভিযোগ করেন, “নামেই স্টেশন, এখানে দিনে সর্ব সাকুল্যে মাত্র দু’জোড়া ট্রেন দাঁড়ায়।” এর ফলে এলাকার মানুষকে ট্রেন ধরতে পাশের স্টেশনে যেতে হয়, যার কারণে অর্থ এবং সময়— দুটোই অপচয় হয়।

অগাস্ট মাসে লোকসভার প্রশ্নোত্তর পর্বেও তিনি এই বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। কিন্তু সমস্যার সমাধান না হওয়ায় তিনি শীতকালীন অধিবেশনে ফের অতিরিক্ত ট্রেন দাঁড় করানোর দাবি জানান। তাঁর দাবি, বিশেষ করে সকালে ও সন্ধ্যায় আরও দু’জোড়া ট্রেন যাতে এই স্টেশনে দাঁড়ায়, তার ব্যবস্থা করা হোক।

পূর্ব রেলের ব্যাখ্যা: সাংসদের অভিযোগ প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বেদ প্রকাশ বলেন, একটি হল্ট স্টেশনে আরও বেশি ট্রেন দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত কয়েকটি মাপকাঠি দেখে নেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রধান হলো—

প্রতিদিন স্টেশনে কত যাত্রী ওঠানামা করেন।

টিকিটের চাহিদা কেমন।

এই সব মাপকাঠি পর্যালোচনা করে তবেই হল্ট স্টেশনে অতিরিক্ত ট্রেন দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এই বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেদিকেই তাকিয়ে আছেন মাতলা এলাকার বাসিন্দারা।