হাওড়া ডিভিশনে বড় সাফল্য! মাত্র ১০ ঘণ্টায় ভেঙে ফেলা হলো দুটি রেল সেতু, তৈরি হলো আধুনিক আরসিসি বক্স সেতু

পূর্ব রেলওয়ের হাওড়া ডিভিশন পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অর্জন করেছে। ১৩/১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে কঠোরভাবে নির্ধারিত ‘মেগা ট্র্যাফিক এবং পাওয়ার ব্লকের’ মধ্যে দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রেল সেতু সফলভাবে পুনর্নির্মাণ করেছে ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।
এই অসাধারণ ইঞ্জিনিয়ারিং কৃতিত্বে সময়মতো ও নিরাপদে ট্রেন পরিষেবা পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ পূর্ব রেলওয়ের চলমান পরিকাঠামো আধুনিকীকরণ অভিযানের অংশ।
শেওড়াফুলি–তারকেশ্বর সেকশনে কাজ শেওড়াফুলি–তারকেশ্বর সেকশনের (ডাউন লাইন) ৩ নম্বর এবং ৪৫ নম্বর সেতুর বিদ্যমান কাঠামো দুটিকে ভারী রেলওয়ে ক্রেন ব্যবহার করে দ্রুত ভেঙে ফেলা হয়। এর বদলে আধুনিক আরসিসি (RCC) বক্স সেতু স্থাপন করা হয়েছে।
৩ নম্বর সেতুতে দ্রুত কাজ
সময়কাল: ১৩ ডিসেম্বর রাত ২৩:২৫ মিনিট থেকে ১৪ ডিসেম্বর সকাল ০৯:৫০ মিনিট পর্যন্ত (মোট ১০ ঘণ্টা ৩০ মিনিট)।
পদ্ধতি: পুরনো সেতু ভেঙে ফেলা হয় এবং হাওড়া রেলওয়ে ক্রেন ব্যবহার করে পাঁচটি স্ল্যাব ও চারটি বক্স সমন্বিত একটি নতুন আরসিসি বক্স সেতু বসানো হয়।
৪৫ নম্বর সেতুতে চ্যালেঞ্জ
সময়কাল: ১৩ ডিসেম্বর রাত ২২:৫৫ মিনিট থেকে ১৪ ডিসেম্বর সকাল ০৯:৫০ মিনিট পর্যন্ত (মোট ১১ ঘণ্টা)।
পদ্ধতি: বিদ্যমান সেতুটি ভেঙে ফেলা হয় এবং রামপুরহাট রেলওয়ে ক্রেনের সাহায্যে সাতটি স্ল্যাব ও ছয়টি বক্স সমন্বিত একটি নতুন আরসিসি বক্স সেতু স্থাপনের কাজ সম্ভব হয়।
উভয় সেতুর কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর, সকাল ৯:৫৫ মিনিটে ট্র্যাফিক এবং পাওয়ার ব্লক প্রত্যাহার করা হয়, যার ফলে ট্রেন চলাচল মসৃণ ও নিরাপদে পুনরায় শুরু করা যায়। রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ সেকশনগুলোতে রেলের গতি বাড়ানোর লক্ষ্যেই স্বল্প সময়ের মধ্যে এই পরিকাঠামোগত উন্নয়ন সেরে ফেলা হচ্ছে। হাওড়া ডিভিশন এই কাজটি দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করে সময়ানুবর্তিতার নজির তৈরি করল।