দিল্লি পুলিশের ‘অমানবিক অত্যাচার’, বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার ৮ মাস পর দেশে ফিরেই বিস্ফোরক সোনালী খাতুন!

দীর্ঘ টানাপোড়েন ও আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে স্বস্তি। মালদহ সীমান্ত দিয়ে শুক্রবার রাতে দেশে ফিরলেন বীরভূমের বাসিন্দা অন্তঃসত্ত্বা সোনালী খাতুন বিবি। বাংলাদেশে ১০১ দিন কারাবাসের পর ভারতে ফেরানো হয় তাঁকে। দেশে ফিরেই মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সোনালী।

তাঁর অভিযোগ, চলতি বছরের জুন মাসে কেবল বাংলায় কথা বলার জন্য দিল্লি পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে এবং এরপর বিএসএফের মাধ্যমে বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ করে দেওয়া হয়।

সোনালী খাতুন বলেন, “বাংলাদেশে খুব কষ্টে ছিলাম। ভারতে ফিরে আসতে পেরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ। ৮ মাসের বেশি বাংলাদেশে ছিলাম। দিল্লি পুলিশ আমাদের ওপর অমানবিক অত্যাচার করেছিল। আমরা অনেক অনুরোধ করেছিলাম। তারপরও আমাদেরকে বিএসএফকে দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হল। আর দিল্লি যাব না কোনোদিনও!”

শুক্রবার ইংলিশ বাজারের মহদীপুর সীমান্ত দিয়ে তাঁর আট বছরের সন্তানসহ তাঁকে ভারতে ফেরানো হয়। প্রথমে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর শনিবার রাতেই বীরভূমের বাড়ির পথে রওনা দেন সোনালী।

প্রসঙ্গত, শীর্ষ আদালত এই ঘটনা নিয়ে হস্তক্ষেপ করে। সরকারের তরফে আবেদন জানানো হয় যে যেহেতু অন্তঃসত্ত্বা সোনালীকে দিল্লি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাই তাঁকে ও তাঁর সন্তানকে দিল্লিতে ফিরিয়ে আনা হোক। যদিও কেন্দ্রের তরফে বারবার দাবি করা হয়েছিল সোনালী বিবি বাংলাদেশি নাগরিক, তবে মানবিকতার খাতিরে সরকার তাঁকে ও তাঁর ছেলেকে ভারতে ফিরিয়ে আনার অনুমতি দেয়।