লাল কেল্লার বিস্ফোরণ, ডাক্তার উমরের অ্যাকাউন্টে ২০ লাখ! ‘হাওয়ালার’ জালে দিল্লি, বিস্ফোরক কেনা হয়েছিল নূহ-এর বাজার থেকে

দিল্লির লাল কেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেলেন গোয়েন্দারা। জানা যাচ্ছে, বিস্ফোরিত হুন্ডাই i20 গাড়িটির চালক উমর মোহাম্মদ ওরফে উমর নবী আসলে ফরিদাবাদের আল ফালাহ ইউনিভার্সিটির একজন ডাক্তার। তার অ্যাকাউন্টে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে প্রায় ২০ লাখ টাকা এসেছিল। এই হামলার মূল চক্রীরা হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা লেনদেন করেছে বলে অনুমান করছেন তদন্তকারীরা।

সূত্রের খবর, অভিযুক্ত উমর মোহাম্মদ হরিয়ানার নূহ এলাকার বাজার থেকে নগদ টাকা দিয়ে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক কিনেছিল। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজন হাওয়ালা ব্যবসায়ীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২০ জন আহত হয়েছেন।

গত সোমবার সন্ধ্যায় লাল কেল্লার কাছে একটি পার্কিং লটে সাদা রঙের হুন্ডাই i20 গাড়িতে বিস্ফোরণটি ঘটে। এর কয়েক ঘণ্টা আগেই জম্মু ও কাশ্মীর, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশ জুড়ে বিস্তৃত এক ‘হোয়াইট কলার’ জঙ্গি মডিউলের পর্দাফাঁস হয়। ওই অভিযানে জইশ-ই-মহম্মদ এবং আনসার গজওয়াত-উল-হিন্দের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগ পাওয়া যায়। অভিযানে তিন ডাক্তারসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং প্রায় ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়।

তদন্তে জানা গেছে, পুলওয়ামায় জন্ম নেওয়া উমর মোহাম্মদ (১৯৮৯) আল ফালাহ ইউনিভার্সিটির ডাক্তার এবং বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিও তদন্তের আওতায়। উমর ছাড়াও আল ফালাহ ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যুক্ত আরও দুই প্রাক্তন ডাক্তার— মুজাম্মিল গানাই এবং শাহীন সায়ীদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কলেজ চত্বর থেকে ৩৬০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার হয়েছে।

ইউনিভার্সিটির বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে ইতিমধ্যে দুটি এফআইআর (FIR) দায়ের করেছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। গোয়েন্দারা এখন বিস্ফোরণের আগে পার্কিং এলাকায় ঢোকা প্রতিটি গাড়ির তালিকা তৈরি করে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন এবং উমর মোহাম্মদ পার্কিংয়ের সময় কারোর সঙ্গে দেখা করেছিল কিনা, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন।