হাসিনার রায়,বাংলাদেশে আওয়ামী লিগের দাপট, ‘লকডাউন’ সামলাতে নামলো সেনা

ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ আজ নির্ধারণ করতে চলেছে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ ছাড়ার পর থেকে হত্যা, ষড়যন্ত্র ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
নজর ট্রাইব্যুনালের দিকে:
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ এই চাঞ্চল্যকর মামলার রায়ের দিন ঘোষণা করবে। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। উল্লেখ্য, এই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালটি শেখ হাসিনার সরকারই গঠন করেছিল। একসময় যে আদালতে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি হয়েছিল এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, এবার সেখানেই ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর মামলার রায়ের দিন ঘোষণা হতে চলেছে।
মৃত্যুদণ্ড দাবি প্রসিকিউশনের:
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণার দিন আজ ধার্য রয়েছে। প্রসিকিউশন পক্ষ গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনার দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছে। ১ জুন এই আদালতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছিল। তাঁর পাশাপাশি, ঢাকার প্রাক্তন পুলিশ প্রধান এবং প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও আজ রায়ের দিন ঘোষণা হবে।
ঢাকায় ‘লকডাউন’ বনাম কড়া নিরাপত্তা:
এই চরম উত্তেজনার আবহে, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লিগ আজ ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার আগে আওয়ামী লিগের পক্ষ থেকে ঢাকায় পদযাত্রার ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইউনূস সরকার ঢাকা এবং আশেপাশের শহরগুলিতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BGB) এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে। জামায়াতে ইসলামি, এনসিপি এবং বিএনপিও আওয়ামী লিগকে ঠেকাতে রাস্তায় থাকবে বলে ঘোষণা করেছে। সম্ভাব্য নাশকতা প্রতিরোধে গত কয়েক দিন ধরে তল্লাশি অভিযান এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতি সকাল থেকেই ঢাকার রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা। ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ডিএমপির ১৭ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গতকাল রাত থেকেই ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও মেসে তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হয়েছে এবং প্রবেশপথগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চলছে।