“যার জন্য করলাম চুরি সেই বলে চোর!”-পার্থর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকেও নিশানা করলেন সুকান্ত

প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিনে মুক্তি পেলেও তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ থামছে না। একইসঙ্গে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পরিবারকে সরাসরি নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে ‘হৃদয়ের ব্যথা’ বলে উল্লেখ করে সুকান্ত ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, নিয়োগ দুর্নীতির নেপথ্যে একা পার্থ নন, এর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারেরও যোগ ছিল।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্যের সূত্র ধরে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “পার্থবাবুর যে বক্তব্য এসেছে, মনে হচ্ছে তা হৃদয়ের ব্যথা থেকে তিনি বলছেন। কারণ, তিনি এখন একটা কথাই বলতে পারেন—‘যার জন্য করলাম চুরি, সেই বলে চোর’।”
সুকান্তের দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় একা পুরোটা করেননি। আরও অনেকে জড়িত। তিনি সরাসরি অভিযোগ করেন, “আমরা তো জানি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির একজন মহিলার কাছ থেকে লিস্ট গিয়েছে।”
তবে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সেই ‘মহিলা’টি কে, তা বলতে অস্বীকার করেন সুকান্ত। তাঁর বক্তব্য, “আমি প্রমাণ করতে পারব না, তাই নামটা বলব না। কিন্তু যিনি চাক্ষুষ করেছেন, আমরা তাঁর কাছ থেকে শুনেছি।” এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
🎯 শুধু পার্থ নন, মুখ্যমন্ত্রীও জড়িত?
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির দায়ে শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দায়ী করতে নারাজ সুকান্ত মজুমদার। তাঁর অভিযোগের নিশানায় সরাসরি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
সুকান্ত বলেন, “আমি বারবারই বলছি, তিনি (পার্থ) একা কিছু করেননি। এতে অনেকে আছেন। মুখ্যমন্ত্রী জড়িত।” তিনি আরও ইঙ্গিত দেন যে, পার্থবাবু যখন বলছেন তাঁকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন এর মাধ্যমে তিনি “তৃণমূলেরই কারও দিকে ইঙ্গিত করার চেষ্টা করছেন।”
🚪 বিজেপি-তে পার্থ? জল্পনা জিইয়ে রাখলেন সুকান্ত
জামিন পাওয়ার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ফের বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে চান। দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া এই নেতা যদি তৃণমূল ছেড়ে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি-তে যোগ দিতে চান, তবে কী হবে?
এই প্রশ্নে সুকান্ত মজুমদার সরাসরি কোনো উত্তর দেননি। তিনি বলেন, “অনুমানভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর হয় না।” তবে, পার্থকে যে বিজেপি-তে নেওয়া হবে না, এমন কোনো কথাও স্পষ্ট করে বলেননি সুকান্ত। তাঁর এই কৌশলী মন্তব্যে জল্পনা আরও বাড়ল।