মোবাইল নম্বরের সঙ্গে এপিক কার্ডের লিঙ্ক নেই? অনলাইনে SIR ফর্ম ফিল আপ হবে কি?

দীর্ঘদিন ধরেই বুথ লেভেল অফিসারদের (BLO) কাছে SIR এনুমারেশন ফর্ম নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বহু মানুষ। তবে এবার সেই সমস্যা থেকে মুক্তি! নির্বাচন কমিশন ভোটারদের জন্য চালু করে দিয়েছে অনলাইন এনুমারেশন ফর্ম ফিলাপের সুবিধা। যাঁরা অফলাইনে ফর্ম পাচ্ছেন না বা জমা দিতে পারছেন না, তাঁরা খুব সহজে ঘরে বসেই এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সেরে ফেলতে পারবেন।

অনলাইন এবং অফলাইন ফর্ম পূরণের নিয়মে সামান্য কিছু পার্থক্য থাকলেও মূল পদ্ধতি একই। তবে অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শর্ত রেখেছে নির্বাচন কমিশন, যা না মানলে আপনার ফর্ম বাতিল হতে পারে।

⚠️ ফর্ম ফিলাপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত!

নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, অনলাইনে SIR এনুমারেশন ফর্ম ফিলাপ করতে গেলে আবেদনকারীর এপিক (EPIC) কার্ড নম্বরের সঙ্গে মোবাইল নম্বর অথবা ইমেল আইডি লিঙ্ক করা বাধ্যতামূলক।

  • কেন বাধ্যতামূলক? নিরাপত্তার কারণে ওটিপি (OTP) সরাসরি আপনার রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে যাবে। কমিশনের ওয়েবসাইটের নির্দিষ্ট কলামে সেই ওটিপি বসিয়ে তবেই লগইন করা সম্ভব হবে। মোবাইল নম্বর লিঙ্ক না থাকলে অনলাইনে ফর্ম পূরণ করা যাবে না।

📱 কীভাবে করবেন অনলাইনে SIR ফর্ম ফিলাপ? (স্টেপ বাই স্টেপ গাইড)

অনলাইনে ফর্ম জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াটি প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে চালু হতে দেরি হলেও, বর্তমানে এটি চালু রয়েছে।

১. পোর্টাল ও অ্যাপ:

  • প্রথমে নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://voters.eci.gov.in/ সাইটে যান।
  • অথবা, কমিশনের অ্যাপ ECINET-এ গিয়েও ফর্ম পূরণ করা যেতে পারে।
  • প্রয়োজনে ফর্মটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

২. লগইন ও যাচাই:

  • অনলাইনে আবেদনের জন্য রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর অথবা ইমেল আইডিতে আসা ওটিপি (OTP) বসিয়ে লগইন করুন।
  • প্রথমে নিজের রাজ্য বেছে নিন।
  • এরপর আপনার এপিক কার্ড নম্বর বসান।
  • যদি আপনার নাম না মেলে, তবে আবার মোবাইল নম্বর বসান। পুনরায় ওটিপি আসবে। সেটি বসিয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করুন।

৩. ফর্ম পূরণ ও তথ্য আপলোড:

  • ফর্মের নির্দিষ্ট কলামগুলিতে নিম্নলিখিত তথ্যগুলি সঠিকভাবে পূরণ করুন:
    • জন্মের তারিখ
    • আধার নম্বর (এটি ঐচ্ছিক, অর্থাৎ না দিলেও চলবে)
    • মোবাইল নম্বর
    • পিতা/মাতা/স্বামী/স্ত্রীর নাম ও তাঁদের এপিক নম্বর (যদি থাকে)
  • নিজের পাসপোর্ট সাইজের ছবির স্ক্যানড কপি হাতের কাছে রাখুন। ফর্ম ফিলাপের সময়ে নির্দিষ্ট অপশনে সেটি আপলোড করুন।
  • সবশেষে, একটি সাদা পাতায় সই করে সেটি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।

৪. নথিপত্র ও সাবমিট:

  • ডিক্লেরেশন পেজে গিয়ে যথাযথ অপশনটি সিলেক্ট করুন।
  • আপনি বা আপনার বাবা-মায়ের নাম যদি ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় থেকে থাকে, তবে সেই কপির স্ক্রিনশট আপলোড করুন।
  • যদি কারও নামই ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় না থাকে, তবে কমিশনের নির্দেশ করা ১১টি নথির যে কোনও একটি ডকুমেন্ট বেছে নিয়ে তাতে টিক দিতে হবে।
  • সমস্ত তথ্য ও ডকুমেন্ট আপলোড করার পর ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করুন।

এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই আপনার অনলাইন আবেদন জমা হয়ে যাবে। তবে আবেদন জমা দেওয়ার আগে নিশ্চিত করুন যেন আপনার মোবাইল নম্বরটি অবশ্যই EPIC কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা থাকে।