রক্তাক্ত বিজেপি বিধায়ক! নাগরকাটায় হামলার প্রতিবাদে দিল্লি কাঁপল, বঙ্গ ভবনের সামনে তুমুল বিক্ষোভ!

উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতিতে ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন বিজেপি নেতৃত্ব। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার নয়াদিল্লির বঙ্গ ভবনের সামনে বড়সড় বিক্ষোভ সমাবেশ করল গেরুয়া শিবির।

সোমবার উত্তরবঙ্গের নাগরকাটায় বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবং দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ির সাংসদ শংকর ঘোষ এবং বিধায়ক খগেন মুর্মু। অভিযোগ, এলাকায় পৌঁছতেই তাদের ওপর হামলা চালানো হয়, যার ফলে গুরুতর আহত হন খগেন মুর্মু।

বিধায়কের চোখে গুরুতর আঘাত:

ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, রক্তাক্ত অবস্থায় পার্টি কর্মীদের সাহায্যে বিধায়ক খগেন মুর্মুকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, তাঁর চোখের নিচের হাড় ভেঙে গিয়েছে। গুরুতর আঘাতের কারণে তাঁর দৃষ্টিশক্তি হারানোরও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়িতে স্থানান্তর করা হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। এই হামলায় সাংসদ ড. শঙ্কর ঘোষও সামান্য আঘাত পেয়েছেন।

‘জঙ্গলরাজ’ অভিযোগ তুলে মমতার পদত্যাগ দাবি:

বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে, যার মূল লক্ষ্য ছিল ত্রাণ কার্যক্রমে বাধা দেওয়া এবং বিরোধী নেতাদের ভয় দেখানো।

এই ঘটনার প্রতিবাদে খোদ রাজধানীতে বঙ্গ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি সমর্থকরা। তাদের দাবি, এটি বাংলায় ‘জঙ্গলরাজ’-এর উদাহরণ। বিক্ষোভ থেকে অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করা হয়।

বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এই হামলার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছেন। তাদের মতে, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মাঝে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ওপর এই হামলা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করছে। উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গে বর্তমানে বন্যা, ভূমিধস ও লাগাতার বৃষ্টির কারণে জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং সহ একাধিক জেলা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত।