নবমী থেকে টানা বৃষ্টি! বাজারে চরম হাহাকার, সবজির দামে আগুন, বেগুন ১২০, ফুলকপি ১৩০ টাকা!

দুর্গা পুজোর নবমী থেকেই শুরু হওয়া লাগাতার বৃষ্টিপাতের জেরে গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে চাষের জমিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের মতো জেলাগুলিতে টানা বৃষ্টির কারণে জল জমে পচে গেছে বহু সবজি ক্ষেত। ফলস্বরূপ, উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই সবজিবাজারে দেখা দিয়েছে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি।
কৃষকরা জানিয়েছেন, একটানা জল জমার ফলে ফুলকপি, বাঁধাকপি, পটল এবং বেগুনের কচি চারা নষ্ট হয়ে গেছে। এই সময়ে সাধারণত শীতকালীন শাকসবজি যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি, মুলো, পালং শাক সহজলভ্য হলেও, এ বছর চিত্রটা সম্পূর্ণ বিপরীত।
সবজির দাম এখন আকাশছোঁয়া
লাগাতার বৃষ্টির কারণে কৃষকরা ঠিকমতো ফসল তুলতে না পারায় এবং আড়তগুলিতে জোগান কমে যাওয়ায় খুচরো বাজারে সবজির দাম হু হু করে বেড়ে চলেছে। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই সবজির দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
খুচরো বাজারে সবজির দাম (কেজি প্রতি):
সবজি দাম
বেগুন ১২০ টাকা
ফুলকপি ১৩০ টাকা
আলু ৩০-৪০ টাকা
বাঁধাকপি ৬০ টাকা
ঢেঁড়স ৭০ টাকা
পটল ৫০ টাকা
ঝিঙে ৬০ টাকা
চাল কুমড়ো ৫০ টাকা
পালং শাক ১০০ টাকা
Export to Sheets
কৃষি আড়তে প্রভাব: মাথায় হাত সাধারণ ক্রেতার
নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের সবজি আড়ত, যা জেলার অন্যতম বৃহত্তম কাঁচামালের বাজার, সেখান থেকে প্রতিদিন ট্রেনে করে সবজি কলকাতা ও বিভিন্ন জেলার বাজারে পৌঁছায়। কিন্তু টানা বৃষ্টির প্রভাবে সেই জোগানেও মারাত্মক প্রভাব পড়েছে।
আড়তদাররা জানাচ্ছেন, কৃষকরা এখন জমিতে ফসল তুলতে না পারায় আগের মতো পরিমাণে সবজি পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলস্বরূপ, সবজির সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে বিশাল ফারাক তৈরি হয়েছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে সাধারণ ক্রেতার পকেটে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আগামী দিনেও এই মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।