বিয়েতে ‘না’ বলায় ভয়ঙ্কর পরিণতি! নাবালিকা ছাত্রীর উপর অ্যাসিড হামলা, আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন

বিয়ের প্রস্তাবে ‘না’ বলায় এক নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর উপর অ্যাসিড হামলার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ থানা এলাকায় ঘটা এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় ওই স্কুল ছাত্রী বর্তমানে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরেই বছর পনেরোর ওই নাবালিকা ছাত্রীকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিল প্রতিবেশী এক যুবক। কিন্তু ছাত্রী ও তার পরিবার সেই প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে। এর পর থেকেই অভিযুক্ত যুবক নানাভাবে ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করত এবং হুমকিও দিত বলে অভিযোগ।

ঘুলঘুলি দিয়ে অ্যাসিড ছুঁড়ে চম্পট
ছাত্রীর পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত যুবক আগেও একবার অ্যাসিড হামলার চেষ্টা করেছিল, যদিও সেবার রক্ষা পায় ছাত্রীটি। তখন অভিযুক্তের পরিবারকে বিষয়টি জানানো হলেও তাঁরা কোনো ব্যবস্থা নেননি। এরই মধ্যে, সোমবার গভীর রাতে অভিযুক্ত যুবক বাড়িতে আসে এবং ঘরের ঘুলঘুলি দিয়ে ছাত্রীকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছুঁড়ে পালিয়ে যায়।

অ্যাসিড হামলায় নাবালিকা ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। রাতেই পরিবারের লোকজন তাঁকে প্রথমে মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

প্রশ্নের মুখে পুলিশ
ঘটনার বেশ কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত যুবককে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এলাকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

যদিও বসিরহাট জেলার পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সব রকম চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, “বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করাতেই এই ঘটনা, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত চলছে, আশা করা যায়, অভিযুক্তকে দ্রুত ধরা সম্ভব হবে।”

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযুক্ত যুবকের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয় মানুষজন।