‘আমাকে শাস্তি দিন, দলে ফিরিয়ে নিন দিদি’! প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে পড়তে চাইলেন বহিষ্কৃত নেতা, ভিডিও ভাইরাল

উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার এক অপ্রত্যাশিত ঘটনার সাক্ষী হলেন। নাগরাকাটার বামনডাঙ্গা চা বাগানে মৃতদের পরিবারের হাতে চেক তুলে দেওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছান মাল পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা স্বপন সাহা।

প্রকাশ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করে দলে ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানান একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই নেতা। এই দৃশ্যের একটি ভিডিও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

মুখ্যমন্ত্রী পাত্তা না দিয়েই হেঁটে গেলেন
ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে স্বপন সাহা কাতর স্বরে বলছেন, “আমাকে শাস্তি দিন, কিন্তু দলে ফিরিয়ে নিন দিদি।” এরপর তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করতে চাইলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত পাত্তা না দিয়েই সামনের দিকে হেঁটে চলে যান। এক সময়ের দাপুটে নেতার এমন করুণ অবস্থা দেখে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা মন্তব্য করেছেন।

কেন বহিষ্কার হয়েছিলেন স্বপন সাহা?
প্রসঙ্গত, ১২০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির দায়ে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল স্বপন সাহাকে। পরবর্তীতে চলতি বছরের জানুয়ারির শেষদিকে তিনি মাল পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকেও ইস্তফা দেন।

একসময় ডুয়ার্সের একটি বড় এলাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে এই নেতার চোখেই খোঁজ রাখতেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দল তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। দলের সেই কঠোর অবস্থান বজায় রেখে এদিন স্বপন সাহার অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করেন মুখ্যমন্ত্রী।

অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে গেরুয়া শিবিরে বড় ধাক্কা
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের মধ্যেই উত্তরবঙ্গে গেরুয়া শিবিরে বড় ধাক্কা লেগেছে। মাদারিহাট উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী রাহুল লোহার দল বদল করে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, আলিপুরদুয়ারের সাংসদ-বিধায়করা এলাকার মানুষের জন্য উন্নয়ন করছেন না। কাজ করার তাগিদেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কাজ করতে চান। রাহুল লোহারের দাবি, তিনি আগামী দিনে বিজেপির একাধিক দুর্নীতি ফাঁস করবেন। উল্লেখ্য, এই প্রথম মাদারিহাটে বিজেপিকে পরাজিত করে তৃণমূল জয়ী হয়। এবার তাদের প্রার্থীও যোগ দেওয়ায় তৃণমূল উত্তরবঙ্গে আরও শক্তিশালী হল বলে দাবি করা হচ্ছে।