১৫ দিনের ডেডলাইন! বিপর্যয়ের মাঝে দাঁড়িয়েই আধিকারিকদের ধমক মমতার, কী নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী?

প্রবল বৃষ্টি, বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে কার্যত বেহাল উত্তরবঙ্গ। জলের তোড়ে বহু ঘরবাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ায় অসংখ্য মানুষ এখন ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত এই পরিস্থিতিতে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি এদিন স্বয়ং পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মিরিকে যান।

মিরিকে ত্রাণ শিবিরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাদের সমস্যা শোনেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ দুধিয়া ব্রিজও পরিদর্শন করেন।

১৫ দিনের ‘মমতা ডেডলাইন’
দুধিয়া ব্রিজ পরিদর্শনের পর যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ দেন। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আধিকারিকরা প্রথমে অস্থায়ী সেতু তৈরি করতে ১ মাস সময় লাগবে বলে জানালে, মুখ্যমন্ত্রী তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ: মিরিক -দুধিয়ায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই একটি অস্থায়ী সেতু তৈরি করে দিতে হবে, যা আপাতত যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখবে।

স্থায়ী সেতুর পরিকল্পনা: স্থায়ী সেতু তৈরি করতে সময় লাগবে ১ বছর এবং এর জন্য ৫৪ কোটি টাকা খরচ হবে।

চালু থাকবে কমিউনিটি কিচেন, আশ্বাস ঘর তৈরির
এদিন দুপুরে মিরিকের দুধিয়ার ত্রাণশিবিরে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী দুর্গত মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের আশ্বস্ত করেন। তিনি স্পষ্ট জানান, যাঁদের ঘরবাড়ি নষ্ট হয়ে গিয়েছে, সেগুলি ফের তৈরি করে দেওয়া হবে।

কমিউনিটি কিচেন: দুর্গতরা যতদিন না নিজেদের ঘরে ফিরতে পারছেন, ততদিন ত্রাণ শিবিরগুলিতে কমিউনিটি কিচেন চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

নথি তৈরির জন্য ক্যাম্প: বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে উত্তরবঙ্গের বহু মানুষের প্রয়োজনীয় নথি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। দ্রুত সেই নথিগুলি তৈরি করে দেওয়ার জন্য ক্যাম্পের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত পদক্ষেপ এবং নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।