কলকাতায় পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর তিন দিনের হনুমন্ত কথা অনুষ্ঠান স্থগিত হওয়ার পরই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে তাঁর মন্তব্য ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। ১০ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত কলকাতায় এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। অনুষ্ঠান বাতিলের প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়ায় ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী সরাসরি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে হনুমন্ত কথা তত ক্ষণ বলব না যত ক্ষণ দিদি আছে।”

বাগেশ্বর বাবার এই বিস্ফোরক মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু কেন কলকাতায় এই অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হল?

জানা গিয়েছে, হনুমন্ত কথা অনুষ্ঠানের জন্য যে স্থানটির অনুমতি নেওয়া হয়েছিল, ভারী বৃষ্টির কারণে সেটি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। তবে সমস্যা শুরু হয় অন্য জায়গায় অনুষ্ঠান করার অনুমতি না মেলায়। ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, “যে স্থানে হনুমন্ত কথার অনুমতি মিলেছিল সেটি জলমগ্ন। অথচ কোনও অন্য স্থলে এই অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হল না। পশ্চিমবঙ্গে হনুমন্ত কথা আয়োজন করা আর সম্ভব নয়।”

ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী এরপরই নিজের মন্তব্যে বিতর্ক আরও উস্কে দেন। তিনি বলেন, “আপনারা বুঝেই গিয়েছেন কার কথা বলছি। আমি নাম নেব না। কিন্তু এটুকু বলব পশ্চিমবঙ্গে হনুমন্ত কথা হবে না। যত ক্ষণ দিদি থাকবে আমি যাব না, যখন দাদা আসবে তখন আমরা অনুষ্ঠান করব।” তাঁর এই মন্তব্য যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করেই করা, তা বুঝতে আর বাকি থাকে না।

বাগেশ্বর বাবার মতে, ধর্ম এবং পরম্পরা মেনেই তাঁরা কথার আয়োজন করেন। কিন্তু পরিস্থিতি অনুকূল না হলে এবং প্রশাসনের তরফে অনুমতি না মিললে তাঁরা অনুষ্ঠান করবেন না। কলকাতায় তাঁর বহু অনুগামী অধীর আগ্রহে এই কথার জন্য অপেক্ষা করছিলেন, যাঁরা এই সিদ্ধান্তে নিরাশ হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে অনুগামীরা বাগেশ্বর বাবার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বলেও খবর মিলেছে।