অধিনায়কত্ব খোয়ানোর পর রোহিত, কোহলির ব্যাট থেকে কী প্রত্যাশা? অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কার রেকর্ড বেশি উজ্জ্বল?

আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরে (১৯ অক্টোবর থেকে শুরু) তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে অভিজ্ঞ ব্যাটার রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলিকে আবারও মাঠে দেখতে পাওয়ার অপেক্ষায় ভারতীয় সমর্থকরা। যেহেতু দু’জনেই এই মুহূর্তে শুধুমাত্র ওয়ানডে ফরম্যাটেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন, তাই ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর এই সিরিজে তাঁদের পারফরম্যান্সের দিকেই সবার নজর থাকবে। এবার শুভমন গিলের নেতৃত্বে ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ খেলবে।

রোহিত শর্মাকে নেতৃত্বভার থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও, সিনিয়র ব্যাটার হিসেবে তাঁকে দলে রাখা হয়েছে। বিরাট কোহলিকেও দলে রাখা হয়েছে। পরিসংখ্যানের বিচারে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ানডেতে এই দুই তারকার পারফরম্যান্স নিচে তুলে ধরা হলো:

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ানডেতে দুই তারকার রেকর্ড
খেলোয়াড় মোট ম্যাচ (ইনিংস) মোট রান ব্যাটিং গড় স্ট্রাইক রেট সেঞ্চুরি/হাফ সেঞ্চুরি
রোহিত শর্মা ৪৬ ২,৪০৭ ৫৭.৩১ ৯৬.০০ ৮টি সেঞ্চুরি / ৯টি হাফ সেঞ্চুরি
বিরাট কোহলি ৫০ (৪৮ ইনিংসে) ২,৪৫১ ৫৪.৪৭ ৯৩.৬৯ ৮টি সেঞ্চুরি / ১৫টি হাফ সেঞ্চুরি

Export to Sheets
মোট রানের বিচারে: বিরাট কোহলি রোহিতের চেয়ে সামান্য বেশি (২৪৫১) রান করেছেন।

গড় এবং স্ট্রাইক রেটের বিচারে: রোহিত শর্মা (৫৭.৩১ গড়, ৯৬ স্ট্রাইক রেট) বিরাট কোহলির (৫৪.৪৭ গড়, ৯৩.৬৯ স্ট্রাইক রেট) চেয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সামগ্রিকভাবে বেশি সফল।

শূন্য রানে আউট: বিরাট কোহলি মাত্র দু’বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন, যা রোহিতের (সংখ্যা উল্লেখ নেই) চেয়ে কম।

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কার পারফরম্যান্স কেমন?
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেও দুই তারকার রেকর্ড দারুণ:

খেলোয়াড় ম্যাচ রান ব্যাটিং গড় স্ট্রাইক রেট সেঞ্চুরি/হাফ সেঞ্চুরি
রোহিত শর্মা ৩০ ১,৩২৮ ৫৩.০০ ৯০.৫৯ ৫টি সেঞ্চুরি / ৪টি হাফ সেঞ্চুরি
বিরাট কোহলি ২৯ ১,০৯৭ ৫১.০০ ৮৯.০০ ৫টি সেঞ্চুরি / ৬টি হাফ সেঞ্চুরি

Export to Sheets
মোট রান ও গড়ের বিচারে: অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেও রোহিত শর্মা (১,৩২৮ রান ও ৫৩ গড়) বিরাট কোহলির (১,০৯৭ রান ও ৫১ গড়) চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন।

সেঞ্চুরির সংখ্যা: দু’জনেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৫টি করে সেঞ্চুরি করেছেন।

শূন্য রানে আউট: রোহিত শর্মা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তিনবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।

রোহিত এবং বিরাট দুজনেই ভারতীয় দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ সদস্য। ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলার স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দু’জন খেলোয়াড়েরই ভালো পারফর্ম করার ইতিহাস থাকায়, আসন্ন সিরিজে ভারতের সাফল্যে তাঁদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।