ধ্বংসস্তূপ থেকে গুজরাতকে উন্নয়ন পথে, এবার দিল্লিতে রেকর্ড! ২৪ বছর ধরে ক্ষমতার শীর্ষে মোদী, কীভাবে তৈরি হলো এই মাইলফলক?

কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জানিয়েছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা BSNL খুব শীঘ্রই তাদের বিদ্যমান 4G নেটওয়ার্ককে দেশীয় প্রযুক্তির সাহায্যে 5G তে আপগ্রেড করবে। আশা করা হচ্ছে, এই কাজটি আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। বর্তমানে BSNL যে দেশীয়ভাবে নির্মিত 4G নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে, তা মূলত 5G-এর জন্য প্রস্তুত (5G-ready)।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের শীর্ষ পদে ২৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘অগণিত আশীর্বাদ’ শব্দদ্বয় দিয়ে তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রাপথ স্মরণ করলেন। মঙ্গলবার সকালে সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’-এ (পূর্বতন টুইটার) তিনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথম শপথ নেওয়ার দিনটির একটি পুরনো ছবি শেয়ার করেন। সেই সঙ্গে প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথগ্রহণের ছবিও।

২০০১ সালের ৭ অক্টোবর নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেই দিনটির কথা স্মরণ করে তিনি লেখেন:

“এই দিনে, ২০০১ সালে, আমি প্রথমবার গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলাম। আমার সহনাগরিকদের অবিরত আশীর্বাদ ও ভালোবাসার জন্য আজ আমি সরকারের প্রধান হিসেবে সেবার ২৫তম বছরে প্রবেশ করছি।”

মোদী আরও উল্লেখ করেন, এই বছরগুলোতে তাঁর একমাত্র লক্ষ্য ছিল দেশের মানুষের জীবনের উন্নতি করা এবং এই মহান জাতির অগ্রগতিতে অবদান রাখা।

২০০১ সালের বিধ্বংসী ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত গুজরাতের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ‘অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি’ (OBC) থেকে উঠে আসা নরেন্দ্র মোদী। সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে রাজ্যকে উন্নয়নের পথে ফিরিয়ে আনা ছিল তাঁর প্রথম বড় চ্যালেঞ্জ ও সাফল্য। তাঁর মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়:

তিনি গুজরাতে বন্যা ও খরার মোকাবিলার জন্য আধুনিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন, যা আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়।

তাঁর আমলেই গুজরাতে তৈরি হয় ক্লাইমেট চেঞ্জ দফতর — যা ছিল ভারতের প্রথম রাজ্য-স্তরের জলবায়ু দপ্তর। এই উদ্যোগ পরবর্তীকালে প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে (COP21) ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নির্ধারণে প্রভাব ফেলেছিল।

২০০১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকে তিনি গুজরাতে প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের ধারাবাহিকতা তৈরি করেন। এরপর ২০১৪ সালে প্রথমবার এবং ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। ২৫ বছরের রাজনৈতিক নেতৃত্বের এই মাইলফলক তাঁর নিরবচ্ছিন্ন জনসেবার প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন।