আর অপেক্ষা নয়! ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে BSNL 5G পরিষেবা চালু, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে বড়সড় আপগ্রেড

দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ঘোষণা করেছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা BSNL খুব শীঘ্রই তাদের বিদ্যমান 4G নেটওয়ার্ককে দেশীয় প্রযুক্তির সাহায্যে 5G তে আপগ্রেড করবে। আশা করা হচ্ছে, এই কাজটি আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। বর্তমানে BSNL যে দেশীয়ভাবে নির্মিত 4G নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে, তা মূলত 5G-এর জন্য প্রস্তুত (5G-ready)।
প্রথম ধাপেই দিল্লি ও মুম্বাই
প্রাথমিকভাবে দিল্লি এবং মুম্বাই শহরে BSNL 5G পরিষেবা চালু করা হবে। এরপর ধীরে ধীরে দেশের অন্যান্য বড় শহর এবং রাজ্যগুলিতেও এই পরিষেবা ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সরকারের লক্ষ্য হলো, আগামী বছরের মধ্যেই দেশব্যাপী 5G নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দেওয়া, যা বাজারে আরও প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করে গ্রাহকদের সুবিধা দেবে।
স্বনির্ভর ভারত: ‘ভারত টেলিকম স্ট্যাক’-এর জয়
BSNL-এর এই 4G এবং আসন্ন 5G পরিষেবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো— এটি পুরোপুরি দেশীয় প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করছে।
এই সম্পূর্ণ সিস্টেমটিকে ‘ভারত টেলিকম স্ট্যাক’ (Bharat Telecom Stack) নামে অভিহিত করা হচ্ছে।
এতে দেশের নিজস্ব হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ব্যবহৃত হচ্ছে, যার ফলে বিদেশি কোম্পানির ওপর নির্ভরতা কমবে এবং ভারতীয় টেলিকম ইন্ডাস্ট্রি আরও স্বনির্ভর হয়ে উঠবে।
কম সময়ে 5G: প্রযুক্তিগত সুবিধা
এই দ্রুত আপগ্রেড সম্ভব হচ্ছে BSNL-এর প্রযুক্তিগত প্রস্তুতির কারণেই। BSNL দেশজুড়ে ইতিমধ্যেই প্রায় এক লক্ষেরও বেশি 4G টাওয়ার বসিয়েছে, যা মূলত 5G প্রযুক্তিতে তৈরি। ফলে নতুন করে বড় পরিমাণ সরঞ্জাম পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে না। শুধু সফটওয়্যার এবং রেডিও আপগ্রেডের মাধ্যমেই এই নেটওয়ার্ককে 5G তে রূপান্তর করা যাবে। এতে সময় ও খরচ দুই-ই অনেকটা কমবে।
সব মিলিয়ে, BSNL যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী 5G সার্ভিস চালু করতে সক্ষম হয়, তবে এটি কেবল গ্রাহকদের জন্য নয়, বরং ভারতের ডিজিটাল ভবিষ্যতের জন্যও বিশাল এক অগ্রগতি হবে।