বিচ্ছেদ নয়, যেন স্বাধীনতা! ‘হ্যাপি ডিভোর্স’ কেক কেটে স্বামীর জমজমাট উদযাপন, দুধ স্নান করালেন মা! তোলপাড় নেটদুনিয়া

সম্পর্কের সমাপ্তি সব সময় মন খারাপের হয় না, কখনও কখনও তা যেন এক নতুন জীবনের সূচনা! সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও দেখে এমনটাই মনে করছেন নেটিজেনরা। বিচ্ছেদের পর এক যুবকের জমকালো ‘মুক্তি’ উদযাপন দেখে চোখ কপালে উঠেছে অনেকেরই।

ইনস্টাগ্রামে শেয়ার হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশের এক যুবক তাঁর বিবাহিত জীবনের সমাপ্তি এবং অবিবাহিত জীবনের সূচনা উপলক্ষে এক বিশেষ আচার পালন করছেন। প্রথমে যুবক মাটিতে বসে আছেন এবং তাঁর মা তাঁর মাথার উপর দুধ ঢেলে দিচ্ছেন—যা অনেকটা ‘অভিষেক’ আচারের মতো, যা শুদ্ধির প্রতীক হিসেবে মানা হয়।

এরপর তাঁকে হাসিমুখে পোশাক পরিবর্তন করে কেক কাটতে দেখা যায়। আর এই উদযাপনের কেন্দ্রে ছিল একটি চকোলেট কেক, যার ওপর লেখা ছিল—”হ্যাপি ডিভোর্স” (শুভ বিবাহবিচ্ছেদ)। শুধু তাই নয়, কেকটিতে আরও লেখা ছিল ‘১২০ গ্রাম সোনা, ১৮ লক্ষ নগদ’ এবং তার সঙ্গে দুটি হাসির ইমোজি। যুবক তাঁর পরিবারের সঙ্গে হইহই করে এই বিচ্ছেদের উৎসব পালন করেন।

ভিডিওটি শেয়ার করার সময় যুবক ক্যাপশনে নেটিজেনদের জন্য একটি কড়া বার্তা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “দয়া করে খুশি থাকুন এবং নিজেকে উদযাপন করুন। হতাশ হবেন না। ১২০ গ্রাম সোনা আর ১৮ লক্ষ নগদ নিইনি, দিয়েছি।”

তিনি আরও যোগ করেছেন, “মেরি জিন্দেগি, মেরি রুলস, সিঙ্গেল অর হ্যাপি।” অর্থাৎ, ‘আমার জীবন, আমার নিয়ম। একা কিন্তু খুশি, স্বাধীন।’

অনলাইনে শেয়ার হওয়ার পর ভিডিওটি ত্রিশ লক্ষেরও বেশি ভিউ পেয়েছে এবং নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ এই উদযাপনকে ‘টক্সিক’ বা ‘অত্যন্ত বাড়াবাড়ি’ বলে মন্তব্য করেছেন, আবার কেউ কেউ একে ‘জীবনে এগিয়ে যাওয়ার সদর্থক বার্তা’ বলেও মনে করছেন।

কমেন্ট সেকশনে অনেকে মন্তব্য করেছেন:

এক নেটিজেন ওই যুবকের প্রাক্তন স্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, তিনি নিশ্চয় এখন আরও ভালো জায়গায় আছেন।

একজন লিখেছেন, মা যেভাবে ‘দুধ-স্নান’ করিয়ে উদযাপন করছেন, তাতে সম্পর্কের পরিস্থিতি কেমন ছিল, তা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না।

কেউ কেউ যুবককে ‘মাম্মাজ বয়’ বলেও কটাক্ষ করেছেন, আবার কেউ মেয়েদের শাশুড়ির থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

এই ভাইরাল ভিডিওটি আবারো প্রমাণ করল যে, সম্পর্ক শেষ হলেও তার রেশ থাকে দীর্ঘকাল, তবে সেই রেশ মন খারাপের হবে নাকি মুক্তির—তা একান্তই ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়।