ভারী বৃষ্টি, ধস এবং রাস্তা বন্ধ হওয়ায় উত্তরবঙ্গে যখন বহু পর্যটক আটকে পড়েছেন এবং একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, সেই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই কলকাতায় রবিবার রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল আয়োজিত হয়। এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মঞ্চে নাচতে দেখা যায় টলিউডের প্রবীণ অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। এর ঠিক পরেই, সোমবার রাতে উত্তরবঙ্গের শোচনীয় পরিস্থিতি নিয়ে প্রসেনজিৎ সমাজমাধ্যমে পোস্ট করতেই নেটিজেনদের একাংশের তীব্র ট্রোলের মুখে পড়েন তিনি।

দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, মিরিক সহ পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকা ভয়াবহ দুর্যোগের মুখোমুখি। এই পরিস্থিতিতে কেন কার্নিভাল বাতিল করা হলো না, তা নিয়ে রবিবার থেকেই রাজ্য সরকারের দিকে প্রশ্ন তুলছিলেন সাধারণ মানুষ। সেই রোষের একাংশ এবার প্রসেনজিতের ওপর গিয়ে পড়ল।

সোমবার রাতে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে প্রসেনজিৎ লেখেন, “কুচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার এই মুহূর্তে সারা দেশ এবং সমগ্র দেশের নিঃস্বার্থ সহযোগিতা পাক এই আশা রাখি। মানুষ ও প্রকৃতি সামঞ্জস্য হারালে সচেতনতা এবং সদুদ্যোগ একমাত্র উপায় ঘুরে দাঁড়ানোর।”

এই পোস্টের পরেই অভিনেতাকে লক্ষ্য করে শুরু হয় কটাক্ষ। নেটিজেনদের কেউ লেখেন, “স্টেজে নেচে এতক্ষণে সময় হয়েছে ইন্ডাস্ট্রির।” কেউ সরাসরি প্রশ্ন করেন, “কার্নিভালে নাচুন লাগবেনা আপনাদের মতো ছোটলোকদের সাহায্য।” আবার কেউ কেউ মন্তব্য করেন, “আগে আপনাদের অন্য রকম মানুষ ভাবতাম। এখন দেখি পুরো টলিউডের বেশিরভাগ মানুষই পুরো ধান্দাবাজ। সব চটির তলায় নিজেদের বিক্রি করে দিয়েছে।” তবে এই ট্রোল ও কটাক্ষের কোনও জবাব অভিনেতা দেননি।

প্রসঙ্গত, রবিবার কার্নিভালে মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে প্রসেনজিৎ ছাড়াও শ্রাবন্তী, অঙ্কুশ, যিশু, রাইমা, ঐন্দ্রিলা, তৃণা সাহা সহ টলিপাড়ার একাধিক তারকাকে দেখা গিয়েছিল। মাসখানেক আগেও এক মন্তব্যের জেরে তিনি ট্রোলড হয়েছিলেন। মুম্বইয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে বাংলায় প্রশ্ন করায় প্রসেনজিৎ বলেছিলেন, ‘বাংলা বলার কী দরকার পড়ল’! সেই সময়ও তিনি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন।