পর্যটন ও অর্থনীতির লাইফলাইন ‘দুধিয়া সেতু’ ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগ! কী ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার?

প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় উত্তরবঙ্গের দুধিয়া নদীর পুরনো সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় শিলিগুড়ি এবং মিরিকের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। স্থানীয় অর্থনীতি ও পর্যটনের জন্য অপরিহার্য এই গুরুত্বপূর্ণ সংযোগপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মঙ্গলবার দুধিয়া পরিদর্শনে যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্রুত সেতু চালুর বিষয়ে নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পূর্ত দফতরের সচিব অন্তরা আচার্য। সচিব জানান, ভেঙে যাওয়া সেতুর পাশে একটি নতুন সেতু তৈরির পরিকল্পনা আগেই নেওয়া হয়েছিল এবং সেই কাজ চলবে। তবে তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য একটি বেইলি ব্রিজ তৈরি করা হবে।

পূর্ত দফতরের সচিব জানিয়েছেন, বেইলি ব্রিজ তৈরি করতে প্রায় এক মাস সময় লাগবে। ফলে দ্রুত জনদুর্ভোগ কমাতে আপাতত হিউম পাইপ বসিয়ে একটি অস্থায়ী সেতু বানিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করার জন্য মুখ্যসচিবকেও নির্দেশ দিয়েছেন।

নানা ঝড়-ঝাপটা সয়ে যাওয়া দুধিয়ার পুরনো সেতু ভেঙে যাওয়ায় যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা সরেজমিনে দেখতে আজ দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে যাবেন। মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে থেকেই পুলিশ প্রশাসন এবং পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা দুধিয়া সেতু পরিদর্শন করেছেন এবং জোরকদমে সভার কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে রাস্তা জুড়ে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে।

নতুন করে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম থাকায় এবং বালাসনের জল কমে যাওয়ায় দুধিয়ায় নতুন করে তেমন কোনও ক্ষতির খবর নেই। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের মূল লক্ষ্য দ্রুত পর্যটন ও অর্থনীতির লাইফলাইন এই পথটিকে সচল করে তোলা।

Saheli Saha
  • Saheli Saha