৩০-৪০টি গাড়ি নিয়ে এলাকায় গেলে ক্ষোভ বাড়বেই! নাগরাকাটার হামলা নিয়ে বিজেপিকে এবার সরাসরি বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর!

উত্তরবঙ্গের বন্যা বিধ্বস্ত নাগরাকাটায় পরিদর্শনে গিয়ে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে এবার প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হামলার তীব্র নিন্দা হলেও, তাঁর বক্তব্যে উঠে এল মানুষের ক্ষোভের প্রসঙ্গ।

আক্রান্ত হওয়ার পর সাংসদ খগেন মুর্মুকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এই ঘটনায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কড়া নিন্দা জানিয়ে বড় আকারের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এমনকি ২০২৬ সালে বাংলায় সরকার পরিবর্তন হলে ‘বদলার’ হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য:

উত্তরবঙ্গে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, “সবাই একসঙ্গে সঙ্কটের পরিস্থিতি মোকাবিলা করা দরকার। কারও প্ররোচনায় পা দেবেন না, এমন কোনও ঘটনা যাতে না ঘটে, যা কাম্য নয়। কারও উপর কোনও আঘাত নয়। যে যার মতো আসবে, কথা বলবে, চলে যাবে। সবার অধিকার আছে। আসুন সবাই মানুষের পাশে এসে দাঁড়াই।”

সেই সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী হামলার কারণ হিসেবে আকারে-ইঙ্গিতে বিজেপি নেতারাই পরিস্থিতিকে উস্কে দিয়েছেন বলে ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, “৩০-৪০টি গাড়ি নিয়ে বন্যা কবলিত এলাকায় গেলে ক্ষোভ বাড়ে।”

কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া:

যদিও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই হামলার ঘটনার নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, “যে ঘটনাটা ঘটেছে, অত্যন্ত খারাপ ঘটনা আমরা নিন্দা করি। খুব খারাপ ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীও বলেছেন।”

তবে তিনি সরাসরি বিজেপির দিকে আঙুল তুলে বলেন, “কিন্তু মানুষের যদি ক্ষোভ থাকে কোনও নেতা বা দলের উপর, তাহলে সমস্যাটা বুঝতে হবে। কারণ মানুষ জানে এরাই ১০০ দিনের টাকা পেতে দেয়নি, এরাই আবাসনের টাকা দিতে দেয়নি। বিপদের দিনে এরা থাকে না মানুষের পাশে। আর আজকেও ত্রাণ নিয়ে যায়নি, ফটোশ্যুট করতে গেছে। মানুষ সেখানে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আমরা এই বিক্ষোভের পদ্ধতির সমর্থন করি না।”

অন্যদিকে, বিজেপির ‘বদলা’র হুঁশিয়ারির পরিপ্রেক্ষিতে কুণাল ঘোষ পাল্টা আক্রমণ করে বলেন, “বিজেপি ওয়াশ আউট হয়ে যাবে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই থাকবেন। কিন্তু বিরোধী দলনেতার পদ থাকবে না, কারণ সেই সংখ্যক বিধায়ক বিজেপি আর পাবে না।”

Saheli Saha
  • Saheli Saha