উত্তরবঙ্গে দুর্যোগের মাঝে নিখোঁজ শিশু ও ব্যক্তির বাড়ি গেলেন সাংসদ! জলঢাকা নদীপারের কান্না মুছতে কী আশ্বাস দিলেন জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া?

উৎসবের মরশুমেও উত্তরবঙ্গে থামছে না প্রাকৃতিক দুর্যোগের তাণ্ডব। আলিপুরদুয়ার থেকে জলপাইগুড়ি, উত্তরের বিভিন্ন জেলায় বন্যার ছাপ স্পষ্ট। কোচবিহারের মাথাভাঙা ১ ব্লকের কেদারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের জোরশিমুলি এলাকা জলঢাকা নদীর জলে পুরোপুরি প্লাবিত হয়েছে।
এই বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে গেলেন কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া।
নিখোঁজদের বাড়িতে সাংসদ, পাশে থাকার আশ্বাস
জানা গিয়েছে, গতকাল বন্যার জলে এক শিশু ও একজন ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছিলেন। এদিন সাংসদ শুধু প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনই করেননি, তিনি নিখোঁজ হওয়া মানুষগুলির বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া শোকাহত পরিবারের পাশে থাকার এবং সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
ভেঙেছে সড়ক যোগাযোগ, বাড়ছে ক্ষোভ
প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে উত্তরবঙ্গের নানা প্রান্তে বাঁধ ভেঙেছে, অস্থায়ী রাস্তা ভেঙে গিয়েছে, এমনকি বহু টুরিস্ট লজের ভিতরেও জল ঢুকেছে। এই মুহূর্তে স্থানীয়দের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া।
দুর্যোগের কারণে ফালাকাটা ও আলিপুরদুয়ারের সড়ক যোগাযোগ ফের বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
এর মূল কারণ চরতোর্ষা ডাইভারশন ভেঙে যাওয়া।
ফলে স্থানীয় মানুষদের এখন কোচবিহার হয়ে ১৫ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে নিত্যযাত্রীদের চাপ যেমন বেড়েছে, তেমনই বহু মানুষ ফালাকাটায় কাজে যাওয়ার জন্য বের হয়েও ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এর জেরে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় মানুষজন দ্রুত এই যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার দাবি তুলেছেন।