ভারতের হাতে চিনা অস্ত্র গুঁড়িয়েও ‘দুর্দান্ত’! কোন লজ্জার ঢাকতে মরিয়া পাকিস্তান, ফাঁস হলো আসল সত্য!

ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) ভয়ঙ্কর ধাক্কা সামলে ওঠার পরেও পাকিস্তান (Pakistan) কিন্তু বিশ্বমঞ্চে নিজেদের ‘বীরত্বের ভুয়ো কাহিনী’ তুলে ধরতে মরিয়া। যে চিনা ক্ষেপণাস্ত্র PL-15 ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার হাতে গুঁড়িয়ে গিয়েছিল, সেই অস্ত্রই নাকি ‘দুর্দান্ত প্রদর্শন’ করেছে বলে দাবি করলেন পাক-সেনার ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশন্স (ISPR)-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী।
চিনা অস্ত্রের গুণগান কেন?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জেনারেল চৌধুরী বলেছেন, “আমরা সকল ধরণের প্রযুক্তির জন্য উন্মুক্ত। সম্প্রতি ব্যবহৃত চিনা অস্ত্র ব্যতিক্রমীভাবে দুর্দান্ত প্রদর্শন করেছে।”
কিন্তু আসল সত্যটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ভারতের বিদেশ সচিবের বয়ান অনুযায়ী, অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তান রীতিমতো যুদ্ধবিরতির জন্য ভিক্ষা চেয়েছিল! ভারতীয় সেনার গুঁড়িয়ে দেওয়া একের পর এক জঙ্গিঘাঁটির বর্তমান ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর পাকিস্তানের ক্ষয়ক্ষতির চিত্রটা সবার সামনে পরিষ্কার।
সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেউলিয়া পাকিস্তানে কোটি কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে চিন। সীমান্ত ও সড়ক উদ্যোগের (BRI) অংশ হিসেবে পাকিস্তানের এই অর্থনৈতিক দুর্বলতাকে ব্যবহার করছেন শি জিনপিং। এমন পরিস্থিতিতে চিনকে সন্তুষ্ট রাখা এবং অভ্যন্তরীণভাবে সামরিক মনোবল চাঙ্গা রাখতেই পাক প্রশাসন এই মিথ্যা আস্ফালন করছে।
ভারতের পাল্টা দাবিতে পাকিস্তানের ‘মনগড়া গল্প’ ফাঁস!
মে মাসে চারদিন ব্যাপী ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তান যে যুদ্ধাস্ত্রগুলো ব্যবহার করেছিল, তার মধ্যে ছিল:
PL-15 ক্ষেপণাস্ত্র (PL-15 Missile)
HQ-9P ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র (HQ-9P Surface-to-Air Missile)
JF-17 এবং J-10 যুদ্ধবিমান
এই তিনটি চিনা ক্ষেপণাস্ত্রকেই ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র থেকে শুরু করে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা— অপারেশন সিঁদুরে ভারতের সাফল্য ছিল দেশীয় অস্ত্রের কার্যকারিতার ওপর ভিত্তি করে।
পাক প্রশাসন যখন একের পর এক ‘ভারতীয় মিসাইল প্রতিহত করার’ দাবি জানাচ্ছিল, তখনই ভারতের বায়ুসেনা প্রধান এপি সিং কড়া জবাব দেন। তিনি বলেন, মে মাসের যুদ্ধের সময় ভারত কমপক্ষে ৮ থেকে ১০টি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। যার মধ্যে আমেরিকার তৈরি এফ-১৬ (F-16) এবং চিনা জেএফ-১৭ (JF-17) বিমানও ছিল।
ভারতীয় বিমানবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরীর এই দাবিকে সরাসরি “মনগড়া গল্প” বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।