স্ত্রীর সঙ্গে আর কাজ নয়! কেন করিনাকে ‘না’ বললেন সইফ আলি খান? অভিনেতা জানালেন বিস্ফোরক কারণ

বলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকা দম্পতিদের মধ্যে অন্যতম হলেন সইফ আলি খান এবং করিনা কাপুর খান। বাস্তবে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী হলেও, পর্দায় তাঁদের রসায়ন কিন্তু সইফের কাছে ‘খুব একটা কাজের কাজ’ হয়নি!

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সইফ আলি খান স্পষ্ট জানিয়েছেন, স্ত্রী বা প্রেমিকার সঙ্গে কাজ করাটা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তাঁর মতে, ব্যক্তিগত সম্পর্ক পেশাগত প্রতিযোগিতার ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়।

কেন করিনার সঙ্গে আর ছবি করতে চান না সইফ?
‘এসকোয়ার ইন্ডিয়া’ (Esquire India)-কে দেওয়া এক বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে সইফ আলি খান স্বীকার করেন যে তিনি সহ-অভিনেতাদের সঙ্গে একটি ‘সুস্থ প্রতিযোগিতা’ (Healthy Competition) অনুভব করলেই সেরা কাজটি দিতে পারেন।

অভিনেতার কথায়, “আমি টের পেয়েছি, আমি সবচেয়ে ভাল কাজ করি যখন সহ-অভিনেতাদের সঙ্গে সুস্থ প্রতিযোগিতায় থাকি। সেই কারণেই আমি বলি, স্ত্রী বা প্রেমিকার সঙ্গে কাজ করা ভালো ধারণা নয়।”

অর্থাৎ, সহ-অভিনেত্রী যদি তাঁর স্ত্রী হন, তবে সেই পেশাগত প্রতিযোগিতা তৈরি হয় না, যা সিনেমার জন্য জরুরি। আর এই কারণেই করিনা কাপুরের সঙ্গে ভবিষ্যতে কাজ করা নিয়ে দ্বিধায় আছেন সইফ।

৬টি ছবিতে জুটি বাঁধলেও ফল মেলেনি!
একসময় করিনা কাপুরের সঙ্গে একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সইফ। তার মধ্যে রয়েছে:

‘এলওসি কারগিল’ (২০০৩)

‘ওমকারা’ (২০০৬)

‘তশন’ (২০০৮)

‘কুরবান’ (২০০৯)

‘এজেন্ট বিনোদ’ (২০১২)

তাঁদের বাস্তব জীবনের প্রেম শুরু হয়েছিল ‘টশন’ ছবির সেটে এবং শেষ ছবি ‘এজেন্ট বিনোদ’ মুক্তি পায় বিয়ের ঠিক আগে। তবে, কোনো ছবিতেই তাঁদের জুটি বক্স অফিসে সেইভাবে ঝড় তুলতে পারেনি।

‘বাড়িতে ঝুঁকি নেব না!’
তাহলে কি ভবিষ্যতে আর কখনও করিনা-সইফকে একসঙ্গে দেখা যাবে না? এই প্রসঙ্গে সইফ তাঁর আগের মন্তব্যেই অটল থেকেছেন।

২০২১ সালে পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন, “কোনো অসাধারণ প্রজেক্ট না হলে, বাড়িতে পরিবর্তন আনার মতো ঝুঁকি নেব না। বরং অন্যদের সঙ্গে কাজ করে, সুন্দরভাবে একসঙ্গে থাকা ভালো।”

বর্তমানে করিনা ব্যস্ত মেঘনা গুলজারের ‘দায়রা’ ছবিতে এবং সইফকে সদ্য দেখা গেছে নেটফ্লিক্সের ‘জুয়েল থিফ: দ্য হাইস্ট বিগিনস’-এ। এরপর তিনি প্রিয়দর্শনের ‘হৈওয়ান’ ছবিতে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করবেন।

আপনার কী মনে হয়? সইফ-করিনার এই সিদ্ধান্ত কি সঠিক? নাকি ব্যক্তিগত জীবন এবং কাজকে আলাদা করা সম্ভব? কমেন্ট করে জানান আপনার মতামত!

Editor001
  • Editor001