বন্যা বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটা পরিদর্শনে গিয়ে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে চরম উত্তেজনা। ইটের আঘাতে সাংসদ খগেন মুর্মু রীতিমতো রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বিজেপি বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এরই মধ্যে এই বিতর্কিত ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তা: ‘ক্ষোভ বাড়ে’
উত্তরবঙ্গে গিয়ে হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে সংযত থাকার বার্তা দেন। তিনি বলেন, “সবাই একসঙ্গে সঙ্কটের পরিস্থিতি মোকাবিলা করা দরকার। কারও প্ররোচনায় পা দেবেন না, এমন কোনও ঘটনা যাতে না ঘটে, যা কাম্য নয়। কারও উপর কোনও আঘাত নয়। যে যার মতো আসবে কথা বলবে চলে যাবে। সবার অধিকার আছে। আসুন সবাই মানুষের পাশে এসে দাঁড়াই।”

তবে বিজেপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন:

“৩০-৪০টি গাড়ি নিয়ে বন্যা কবলিত এলাকায় গেলে ক্ষোভ বাড়ে।”

‘বদলার’ হুঁশিয়ারির জবাবে তৃণমূল
বিজেপি এই হামলার ঘটনায় বড় আকারের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এমনকি, ২০২৬ সালে রাজ্যে সরকার পরিবর্তন হলে ‘বদলার’ হুঁশিয়ারিও দিয়েছে গেরুয়া শিবির।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপি ওয়াশ আউট হয়ে যাবে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই থাকবেন। কিন্তু বিরোধী দলনেতার পদ থাকবে না। কারণ সেই সংখ্যক বিধায়ক বিজেপির থাকবে না। সাধারণ মানুষ বিজেপিকে সেই সংখ্যক আসন দেবে না।”

হামলার নিন্দা করেও বিজেপিকে কুণালের চরম নিশানা
কুণাল ঘোষ নাগরাকাটার ঘটনা নিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “যে ঘটনাটা ঘটেছে, অত্যন্ত খারাপ ঘটনা আমরা নিন্দা করি। খুব খারাপ ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীও বলেছেন। কিন্তু মানুষের যদি ক্ষোভ থাকে কোনও নেতা বা দলের উপর, তাহলে সমস্যাটা বুঝতে হবে।”

তিনি সরাসরি বিজেপিকে নিশানা করে বলেন:

“কারণ মানুষ জানে এরাই ১০০ দিনের টাকা পেতে দেয়নি। এরাই আবাসের টাকা দিতে দেয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে হয়েছে সেই টাকা। বিপদের দিনে এরা থাকে না মানুষের পাশে। আর আজকেও ত্রাণ নিয়ে যায়নি, ফটোশ্যুট করতে গেছে। মানুষ সেখানে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আমরা এই বিক্ষোভের পদ্ধতির সমর্থন করি না।”