বন্যা পরিদর্শনে গিয়ে রক্ত ঝরল সাংসদের! নাগরাকাটার হামলায় মাথা ফাটল খগেন মুর্মুর, প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ মালদহজুড়ে

বন্যা বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটা পরিদর্শনে গিয়ে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উপর হামলার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি এখন অগ্নিগর্ভ। এই ‘প্রাণঘাতী হামলা’র প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে মালদহ জেলাজুড়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ল গেরুয়া শিবির। মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগে চাঁচল শহরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।
হামলার প্রতিবাদে স্তব্ধ জাতীয় সড়ক
সাংসদ ও বিধায়কের উপর হামলার প্রতিবাদে সোমবার মালদহের একাধিক জায়গায় পথে নামেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।
চাঁচল: মালদহ উত্তরের বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি রতন দাস ও নেতা প্রশান্ত পালের নেতৃত্বে চাঁচল শহরে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে জোরদার বিক্ষোভ দেখানো হয়।
গাজোল: গাজোল বিজেপি সংগঠনের পক্ষ থেকে গাজোলের বামনগোলা মোড়ে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। গাজোল বিধানসভার বিধায়ক চিন্ময় দেববর্মনের নেতৃত্বে এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন উত্তর মালদার সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রতাপ সিং সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
জাতীয় সড়ক অবরোধের জেরে দীর্ঘক্ষণ ধরে যানবাহন চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়।
খগেন মুর্মুর উপর ঠিক কী ঘটেছিল?
সাম্প্রতিক বন্যায় ডুয়ার্সের নাগরাকাটার মানুষ একেবারে সর্বস্বান্ত। দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে এবং সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখতেই সেখানে গিয়েছিলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিধায়ক ও সাংসদের গাড়ি নাগরাকাটার ভেতর প্রবেশ করার সময় একদল উত্তেজিত লোক তাঁদের ঘিরে ধরে। অভিযোগ উঠেছে, ওই সময় ইট-পাথরের বৃষ্টি শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যেই শঙ্কর ঘোষের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়, কাঁচ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। বিক্ষোভকারীরা বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর মাথা পাথর ছুঁড়ে ফাটিয়ে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থাতেই তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে গাড়িতে তুলে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে আসে। শঙ্কর ঘোষকেও এই সময় হেনস্থা করা হয়।
বিজেপির অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক মুখ না থাকার কারণেই এই হামলা হয়েছে এবং এর পিছনে তৃণমূলের কর্মীরা জড়িত। তবে তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করে একে জনরোষ বলে দাবি করেছে।