ধস বিধ্বস্ত নাগরাকাটায় গিয়ে ‘গুন্ডামির’ শিকার বিজেপি সাংসদ-বিধায়ক, তৃণমূলকে চরম হুঁশিয়ারি সুকান্ত মজুমদারের

উত্তরবঙ্গের ধস বিধ্বস্ত নাগরাকাটার বামনডাঙা এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে জনরোষের শিকার হয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ। এই হামলার জেরে সাংসদ খগেন মুর্মুর মাথা ফেটে গুরুতর আঘাত লেগেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

“মৃত্যুমিছিলের মাঝেও কার্নিভালে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী”
আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন, “বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গে মৃত্যুমিছিল, অথচ খবর পেয়েও কার্নিভালে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী। বোঝা যাচ্ছে কতটা ভয়ঙ্কর মুখ্যমন্ত্রী।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “গতকাল থেকেই উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ দিচ্ছিল বিজেপির নেতা কর্মীরা। বন্যা-বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শংকর ঘোষ। মমতার পুলিশের সামনেই নির্মমভাবে হামলা চালানো হয়েছে।”

সুকান্ত মজুমদার হুঙ্কার দিয়ে বলেন, “এই অমানবিক নৃশংসতার জন্য বাংলার মানুষই শাস্তি দেবে।”

‘গুন্ডামির শিকার’ বিজেপি নেতৃত্ব
মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শংকর ঘোষ যখন দুর্যোগকবলিত বামনডাঙা এলাকায় পৌঁছান, তখনই একদল ক্ষুব্ধ জনতার অসন্তোষের মুখে পড়েন। লাঠি, পাথর ও জুতো নিয়ে হামলার জেরে খগেন মুর্মু গুরুতর জখম হন।

বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, এই হামলার নেপথ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ইন্ধন রয়েছে এবং পুলিশের সামনেই এই ‘গুন্ডামি’ হয়েছে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব সরাসরি হামলার দায় অস্বীকার করে বলেছে, এটি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এই হামলার ঘটনা ঘিরে এখন উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

Editor001
  • Editor001