চিৎকার শুনে ছুটে এলেন প্রতিবেশীরা! ডানকুনিতে ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু নদীয়ার চৈতালি বিশ্বাসের, কী সম্পর্ক ছিল ধৃত শাশ্বত বায়েনের সঙ্গে?

ডানকুনি পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। রবিবার গভীর রাতে একটি বাড়ি থেকে আনুমানিক ৪৫ বছর বয়সি এক মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় শাশ্বত বায়েন নামে বাড়ির মালিককে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে ডানকুনি থানার পুলিশ।

চিৎকার শুনে ছুটে এলেন প্রতিবেশীরা
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম চৈতালি বিশ্বাস, বাড়ি নদীয়ার কৃষ্ণনগরে। গত এক সপ্তাহ ধরে ডানকুনির ১৮ নং ওয়ার্ডে শাশ্বতর বাড়িতেই তিনি থাকছিলেন। গতকাল রাতে ওই বাড়ি থেকে হঠাৎই তীব্র চিৎকার শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন।

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে পাঠায়। আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রতিবেশীদের অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত শাশ্বত বায়েনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে প্রাণে মারার চেষ্টা, মারধর-সহ সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

অভিযুক্তকে নিয়ে বিস্ফোরক স্থানীয় কাউন্সিলর
এই ঘটনার পর অভিযুক্ত শাশ্বত বায়েনকে নিয়ে মুখ খুলেছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সূর্য দে। তিনি অভিযোগ করেন, “শাশ্বত বায়েন এলাকার মানুষকে উত্যক্ত করত। মহিলাদের গালিগালাজ করত। ওর জ্বালাতনে অতিষ্ঠ ছিলেন এলাকাবাসী। আমি খবর পেয়ে এসে দেখি, ওর ঘরে মহিলা মুখ থুবড়ে পড়ে আছেন।” তিনি অভিযুক্ত শাশ্বতর কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।

সম্পর্কের রহস্য কী?
পুলিশ এখন এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারণ এবং সম্পর্কের জটিলতা জানার চেষ্টা করছে।

খুনের কারণ কী?

ধৃত শাশ্বত বায়েনের সঙ্গে মৃত চৈতালি বিশ্বাসের সম্পর্ক কী ছিল?

তাঁরা একে অপরকে কত দিন ধরে চিনতেন?

কেনই বা কৃষ্ণনগরের চৈতালি বিশ্বাস ডানকুনির শাশ্বতর বাড়িতে এসে থাকছিলেন?

পরিবারের অসঙ্গতি এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মনে করছে, এই ঘটনার পিছনে আরও কোনও রহস্য লুকিয়ে আছে। ডানকুনি থানার পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

Editor001
  • Editor001