রাত ১১টায় ট্রমা আইসিইউতে আগুন! জয়পুর সরকারি হাসপাতালে ৮ রোগীর ঝলসে মৃত্যু, শর্ট সার্কিট নিয়ে চাঞ্চল্য

রবিবার রাতে রাজস্থানের জয়পুরের সরকারি হাসপাতাল সোয়াই মান সিং (SMS) হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে ভয়াবহ আগুনে কমপক্ষে ৮ জন গুরুতর অসুস্থ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে দু’জন মহিলা রয়েছেন। এই ঘটনায় আরও তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
গতকাল রাত প্রায় ১১টা নাগাদ হাসপাতালের তিনতলায় অবস্থিত ট্রমা আইসিইউতে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। দমকলের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ
ঘটনাস্থলে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা গেলেও মৃতের আত্মীয়-পরিজনেরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চরম গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন।
মৃতের আত্মীয়দের অভিযোগ, তারা ধোঁয়া বের হওয়ার বিষয়টি নিয়ে বারবার কর্মীদের সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এটিকে ‘স্বাভাবিক’ বলে গুরুত্ব দেয়নি। তাদের আরও অভিযোগ, আগুন লাগার সময় ফায়ার অ্যালার্ম বাজেনি এবং কোনও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রও ছিল না। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় মূলত অক্সিজেনের অভাবে দমবন্ধ হয়েই রোগীদের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোগীদের স্বজনদের অভিযোগ, আগুন লাগার সময় হাসপাতালের কর্মীরা নাকি পালিয়ে গিয়েছিলেন। ফলে তাদেরকেই রোগীদের উদ্ধার করতে হয়। এরপর স্ট্রেচারে করে রোগীদের বাইরে আনার পর অ্যাম্বুলেন্স আসার আগে প্রায় এক ঘণ্টা তাদের রাস্তাতেই অপেক্ষা করতে হয়। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
কর্মীদের পাল্টা দাবি
যদিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা এক ওয়ার্ড বয় ও অন্য এক হাসপাতাল কর্মী গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এক কর্মী বলেন, “আমরা যখন আগুন লাগার কথা শুনি, তখনই অপারেশন থিয়েটারের ভেতরে ছিলাম এবং তাৎক্ষণিকভাবে লোকজনকে উদ্ধারে ছুটে যাই। আমরা কমপক্ষে তিন থেকে চারজন রোগীকে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু, আগুন তীব্র হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আর ভেতরে যেতে পারিনি।”
তিনি আরও জানান, পুলিশ দেরিতে পৌঁছায় এবং প্রচণ্ড ধোঁয়ার কারণে তারাও সঙ্গে সঙ্গে বিল্ডিংয়ে প্রবেশ করতে পারেনি। তবে পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে।