ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের পথে পাহাড়! দুধিয়ার ভাঙা সেতু পরিদর্শনে পুলিশের শীর্ষ কর্তারা, কোথায় এখনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন?

এক রাতের ভয়াবহ বৃষ্টিতে ধস নেমে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন রাজ্য পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের একটি দল। মিরিকের দুধিয়ায় বালাসন নদীর উপর ভেঙে যাওয়া সেতু-সহ ধস কবলিত এলাকাগুলি তাঁরা ঘুরে দেখেন।

এই আধিকারিক দলের নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্য পুলিশের এডিজি এসটিএফ বিনীত গোয়েল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এডিজি জাভেদ শামিম, আইজি এসটিএফ গৌরব শর্মা, আইজি উত্তরবঙ্গ রাজেশ যাদব এবং দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার-সহ অন্যান্যরা।

ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পাহাড়ের জনজীবন
এদিন সকাল থেকে পাহাড়ে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া থাকায় পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বলে জানান দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ। তিনি বলেন:

“এখন পরিস্থিতি অনেকটা উন্নত হয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংগামী সড়ক দিয়ে যাতায়াত শুরু হয়েছে। তবে, মিরিক এখনও বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ঘুম হয়ে মিরিকে পৌঁছাতে হচ্ছে। আমরা হেল্পডেস্ক ও হেল্প লাইন চালু করেছি। পর্যটকদের বাড়ি ফেরাতে আমরা বিশেষ গাড়ির ব্যবস্থা করেছি।”

যদিও দুধিয়ায় সেতু ভেঙে যাওয়ায় শিলিগুড়ি থেকে মিরিকের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ আপাতত বিচ্ছিন্ন। দুধিয়ার নদী তীরবর্তী মেচিপাড়া ও দাড়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দাদের আগেই খালি করিয়ে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। সেখানে জেলা প্রশাসন ও জিটিএ-র তরফে দেখাশোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রবিবার রাতের পর থেকে আর নতুন করে কোনও ধস নামার ঘটনা ঘটেনি।

জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে চরম অব্যবস্থা: ‘পে-লোডার’-এ ঝুঁকি নিয়ে হলং নদী পার পর্যটকদের
পাহাড়ে যখন প্রশাসন পরিস্থিতির উন্নতির চেষ্টা করছে, ঠিক তখনই আলিপুরদুয়ারের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান থেকে ধরা পড়ল চরম অব্যবস্থার ছবি। জলমগ্ন জলদাপাড়ায় আটকে পড়া পর্যটকদের ঝুঁকি নিয়ে হলং নদী পারাপার করানোর অভিযোগ উঠেছে।

আটকে পড়া পর্যটকদের অভিযোগ, ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে রিসর্টে আটকে থাকার পরও জেলা প্রশাসনের তরফে কোনও সাহায্য মেলেনি। শেষ পর্যন্ত রিসর্টের ম্যানেজারের সাহায্যে একটি পে-লোডার (ভারী নির্মাণ সরঞ্জাম) জোগাড় করা হয়। সেই পে-লোডারে চেপেই পরিবার-সহ বহু পর্যটককে বিপজ্জনকভাবে নদী পার হয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়।

পর্যটকদের একজন অভিযোগ করেন, বন দফতরের কোনও আধিকারিককেও তাঁরা দেখতে পাননি। যদিও বন দফতরের এক আধিকারিক ঝুঁকি নিয়ে পে-লোডারে করে পর্যটকদের উদ্ধারের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।

অন্যদিকে, এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করতে দ্রুত জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে যাচ্ছেন বন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। সেখানে তিনি বন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা করবেন।

Editor001
  • Editor001