দিল্লিতে চাঞ্চল্য, ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে ভিডিও রেকর্ড, ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগে ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ পলাতক

খাস রাজধানীতে এক ভয়ঙ্কর ঘটনার শিকার হলেন ১৮ বছর বয়সী এক ডাক্তারি পড়ুয়া। তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বিরুদ্ধে হোটেলে নিয়ে গিয়ে লাগাতার ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ এনেছেন। অভিযোগ, ধর্ষণের সময় ভিডিও রেকর্ড করে অভিযুক্ত তরুণটি তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিত।
আদর্শ নগর: ঘনিষ্ঠতার সুযোগে ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেল
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির আদর্শ নগর এলাকায়। নির্যাতিতা ডাক্তারি পড়ুয়া আদতে হরিয়ানার ঝিন্দের বাসিন্দা এবং পড়াশোনার জন্য দিল্লিতে একটি হোস্টেলে থাকেন। অভিযুক্ত তরুণটিও একই এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশকে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর এক পার্টিতে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু তাঁকে হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে দেদার মদ্যপানের পর ওই তরুণ তাঁকে ধর্ষণ করে এবং সেই মুহূর্তের ভিডিও ও ছবি ক্যামেরাবন্দি করে। এরপর এক মাস ধরে সেই ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেল করত এবং বারবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার জন্য জোর করত।
অবশেষে পরিবারে ঘটনাটি জানানোর পর গত বৃহস্পতিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই অভিযুক্ত তরুণ পলাতক। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।
রাজধানীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও যৌন হেনস্থার অভিযোগ
ডাক্তারি পড়ুয়ার এই ঘটনার পাশাপাশি, রাজধানীতে গত কয়েক দিনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আশ্রমকে কেন্দ্র করে আরও বেশ কয়েকটি যৌন হেনস্থার অভিযোগ সামনে এসেছে:
গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতাল
গত সপ্তাহেই দিল্লির গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতাল থেকে এক অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই হাসপাতালের এক এমবিবিএস পড়ুয়া ২৬ সেপ্টেম্বর অভিযোগ জানান যে, দিলশাদ গার্ডেনের ওই অধ্যাপক দিনের পর দিন তাঁকে যৌন হেনস্থা করতেন।
জনপ্রিয় আশ্রমের প্রধান গ্রেফতার
অন্যদিকে, দিল্লির বসন্ত কুঞ্জ এলাকার একটি জনপ্রিয় আশ্রমের প্রধান ও ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর স্বামী চৈতন্যনন্দ সরস্বতী ওরফে পার্থসারথির বিরুদ্ধে একাধিক তরুণীকে যৌন হেনস্থা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে।
ওই আশ্রমের শ্রী সারদা ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্টের কমপক্ষে ১৭ জন ছাত্রী থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। তরুণীদের অভিযোগ, অভিযুক্ত প্রায়ই অশ্লীল ভিডিও ও মেসেজ পাঠাতেন এবং শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার জন্য জোরাজুরি করতেন। ইনস্টিটিউটের মহিলা শিক্ষাকর্মীদের কাছে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত পুলিশ আগ্রা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।