ডিভিসি-র জল ছাড়ায় ভাসছে খানাকুল, পানশিউলি বাজার জলমগ্ন, হুগলি-হাওড়ার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

টানা বৃষ্টির দাপটের মধ্যেই দফায় দফায় ডিভিসি (DVC) জল ছাড়ছে। এর ফলে এবার হুগলির খানাকুলের নিচু এলাকার দু’টি পঞ্চায়েতের বেশ কিছু গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে। বিস্তীর্ণ চাষের জমি জলমগ্ন হওয়ার পাশাপাশি গ্রামের রাস্তাঘাটও ডুবতে শুরু করেছে, ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

রূপনারায়ণ-মুণ্ডেশ্বরীর জল বাড়ছে
খানাকুল-২ ব্লকের মাড়োখানা এবং খানাকুল-১ ব্লকের খানাকুল-২ পঞ্চায়েত এলাকা জলমগ্ন। ডিভিসি জল ছাড়ার ফলে খানাকুলের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া রূপনারায়ণ ও মুণ্ডেশ্বরী নদীর জলস্তর দ্রুত বাড়ছে।

জলের চাপ এতটাই বেড়েছে যে, পানশিউলি বাজারে রূপনারায়ণ নদের উপর হুগলি থেকে হাওড়ার যোগাযোগের জন্য তৈরি করা বাঁশের সেতুটি খুলে নিতে হয়েছে। এর ফলে ফের একবার নৌকা করে যাতায়াত শুরু করতে বাধ্য হয়েছেন সাধারণ মানুষ।

অন্যদিকে, রূপনারায়ণ নদের তীরে অবস্থিত পানশিউলি বাজারে নদীর জল উপচে ঢুকতে শুরু করেছে। বিশেষত দুপুরে জোয়ারের জলস্তর বেশি থাকায় বাজারেও জল ঢুকছে। ফলে উৎসবের আবহের মধ্যেই খানাকুলে ফের দুর্যোগের আতঙ্ক বাড়ছে।

চাষবাস নিয়ে চরম আশঙ্কা কৃষকদের
এলাকার মানুষের প্রধান অভিযোগ ডিভিসি-র বিরুদ্ধে। তাঁদের দাবি, বর্ষার শুরু থেকে যেভাবে ডিভিসি বারবার জল ছাড়ছে, তাতে ৩ মাস ধরে খানাকুলের মাড়োখানা পঞ্চায়েত এলাকার চাষের জমি জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। এর ফলে এবার কোনও চাষই করতে পারেননি স্থানীয় কৃষকরা।

পুজো মিটতে না মিটতেই ফের জল ছাড়া শুরু হওয়ায় এবং আকাশের দুর্যোগ না কাটায়, পুজোর পর সবজি চাষ নিয়েও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা বুঝতে পারছেন না, আদৌ এবার জমির ফসল চাষ করা সম্ভব হবে কিনা।