উত্তরবঙ্গে মারাত্মক সংঘর্ষ! দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে মাথা ফাটল বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর, তোলপাড় নাগরাকাটা

উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় প্রবল বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের কারণে যখন মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ২৪ জন, ঠিক সেই সময় দুর্যোগের রাজনীতি নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পরিস্থিতি। রবিবার কলকাতায় দুর্গাপুজোর কার্নিভাল আয়োজন করায় মুখ্যমন্ত্রীকে লাগাতার আক্রমণ করেছিলেন বিরোধীরা, যার নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এর একদিন পরই সোমবার উত্তরবঙ্গে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে বেদম মার খেলেন বিজেপির সাংসদ ও বিধায়করা।

মাথা ফাটল সাংসদের, লাঞ্ছিত বিধায়ক
ধস বিধ্বস্ত নাগরাকাটার বামনডাঙা এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মু এবং শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সহ একাধিক নেতা। সেখানেই তাঁরা মারধরের মুখে পড়েন। এলাকার কিছু মানুষের ‘গুন্ডামির মুখে’ নাকাল হতে হয় তাঁদের।

সংঘর্ষে মারাত্মক আঘাত পান মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু। মারে তাঁর মাথা ফেটে যায়, রক্তে সারা মুখ ভিজে যায়। অন্যদিকে, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে পেছন দিক থেকে ধাক্কা মারা হয়। এদের হাতেই শঙ্কর ঘোষের গাড়িটি ভাঙচুর করা হয় এবং গাড়িতে পাথর, জুতো ও লাঠি ছোড়া হয়।

তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল
প্রবল বিক্ষোভের মুখে কার্যত এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদরা। ঘটনার পরই বিজেপি নেতৃত্ব অভিযোগের আঙুল তুলেছে শাসক দল তৃণমূলের দিকে। যদিও এই হামলায় যারা যুক্ত ছিল, তারা কোন দলের সমর্থক, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।

বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, উত্তরবঙ্গের এই ভয়াবহ দুর্যোগের সময়েও মানুষকে রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত রাখা হচ্ছে এবং বিরোধীদের ত্রাণ কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রবিবার কার্নিভাল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করার পরদিনই এই ঘটনা ঘটায় রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে নতুন চাঞ্চল্য।