‘উত্তরবঙ্গের বন্যা ম্যান মেড,’ ভুটান, সিকিমকে দুষলেন মমতা, জেনেনিন কেন?

উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি ও ধসের ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিকে ‘ম্যান মেড’ (Man-Made) বিপর্যয় বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগের নিশানায় এবার সরাসরি দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (DVC)। আজ, সোমবার সকালে মুখ্যসচিবকে সঙ্গে নিয়ে উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি ডিভিসি-র বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে জল ছাড়ার অভিযোগ তোলেন।
মুখ্যমন্ত্রী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “পরশু রাত থেকে টানা ১২ ঘণ্টা ধরে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। তার সঙ্গে ভুটান ও সিকিমের জল এসে উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ভুটান, অসম থেকে জল ঢুকছে। তার ওপর ডিভিসি ইচ্ছা করে জল ছেড়ে দিচ্ছে। ফলে উত্তরবঙ্গের মানুষকে এখন তার খেসারত দিতে হচ্ছে।”
তাঁর আরও অভিযোগ, “যদি ডিভিসি, ফরাক্কা, কলকাতা, হলদিয়া, পাঞ্চেত, মাইথন এসব জায়গায় নিয়মিত ড্রেজিং করা হত, তাহলে এত বড় বিপর্যয় হত না। ডিভিসি ড্রেজিং করলে এই অবস্থা হত না। এটা একেবারেই ম্যান মেড বিপর্যয়।”
তিনি জানান, ভুটান সরকার চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল জল ধীরে ধীরে ছাড়তে, কিন্তু হঠাৎ জল ছেড়ে দেওয়ায় পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, “ভুটানের ছাড়া জলে ভাসছে নাগরাকাটা।”
মুখ্যমন্ত্রী জানান, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হল নাগরাকাটা ও মিরিক। বন্যা ও ধসে আটকে পড়া পর্যটকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৪৫টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিস্থিতি তদারকির জন্য মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও গৌতম দেবকে ধূপগুড়িতে পাঠানো হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়াতদের পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বড় ঘোষণা করেন:
যাঁরা প্রয়াত হয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেক পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।
প্রতিটি পরিবারকে একটি পুলিশের হোমগার্ডের চাকরিও দেওয়া হবে। তিনি জানান, “এটা আমাদের সামাজিক দায়িত্ব।”