‘এর চেয়ে আমাকে মেরে ফেল’! সাফল্যের চূড়া থেকে পতনের পর কীভাবে কাটত রাজেশ খান্নার শেষ জীবন, ফাঁস করলেন ছায়াসঙ্গী

ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রথম সুপারস্টার—এই তকমাটি ছিল শুধু তাঁরই। ‘আরাধনা’, ‘আনন্দ’, ‘অমর প্রেম’-এর মতো একের পর এক ব্লকবাস্টার হিট দিয়ে বলিউড শাসন করেছিলেন তিনি, রাজেশ খান্না। তবে সাফল্যের শিখর থেকে তাঁর শেষ জীবনের পতন ছিল গভীর বেদনার। শোনা যায়, বেসামাল জীবনযাত্রা এবং অতিরিক্ত অহংবোধই তাঁর এই পতনের জন্য দায়ী। শেষ জীবনে তাঁর এক একটি দিন কাটত যেন এক একটি বছরের মতো।

তাঁর শেষ জীবনের ‘ছায়াসঙ্গী’ ছিলেন অনিতা আডবাণী। সম্প্রতি অবন্তি ফিল্মস নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অনিতা তুলে ধরলেন তাঁর চরম কষ্টের দিনগুলির কথা।

অনিতা জানান, শেষদিকে বিছানায় শুয়ে শুয়ে রাজেশ খান্নার দিন কাটত গভীর যন্ত্রণায়। অসহ্য কষ্টে তিনি বারবার বলতেন, “আমার এই অবস্থা, আমি সহ্য করতে পারছি না। এর চাইতে আমাকে মেরে ফেল।” অনিতা আডবাণী তাঁকে তখন পজিটিভ কথা বলে বোঝাতেন। যদিও সেই সময় ডিম্পল কাপাডিয়াও দুই মেয়ে নিয়ে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন।

কিন্তু তাঁর মুখে একটাই আক্ষেপের কথা—”শেষমেশ বাঁচাতে পারলাম না।”

‘আশীর্বাদ’ বিক্রির প্রস্তাবে ভেঙে পড়েছিলেন

রাজেশ খান্নার বাড়ি ‘আশীর্বাদ’ ছিল তাঁর সুপারস্টার জীবনের প্রতীক। অনিতা জানান, রাজেশের ইচ্ছে ছিল তাঁর বাড়িটি যেন মিউজিয়াম হয় এবং তাঁর সুপারস্টারের ইতিহাসটা সব সময় উজ্জ্বল থাকুক।

কিন্তু হঠাৎই একদিন তাঁর কাছে ১৫০ কোটি টাকায় বাড়িটি বিক্রির প্রস্তাব আসে। এই অফার শুনে রাজেশ খান্না মানসিকভাবে পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিলেন এবং ক্রেতাকে পত্রপাঠ বিদায় দেন। পরে যখন ‘আশীর্বাদ’ ভেঙে ফেলা হয়, সেই দৃশ্যও সহ্য করতে পারেননি অনিতা।

রাজেশ খান্না ও ডিম্পল কাপাডিয়ার দাম্পত্য কলহ এবং অনিতা আডবাণীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের গুঞ্জন একসময় তুমুল চর্চিত হয়েছিল। কিন্তু শেষ দিনে অনিতাই ছিলেন তাঁর একমাত্র অবলম্বন, যিনি সুপারস্টারের জীবনের গভীর যন্ত্রণা খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন।