বিজেপিতে ক্ষমতার অলিন্দে বড় ফিসফাস! সাসপেন্ড হওয়া নেতা রীতেশের সঙ্গে আরএসএস-এর সুব্রত চট্টোপাধ্যায় কেন এক ফ্রেমে?

দুর্গাপূজার অষ্টমীর দিনে বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজো যেন হয়ে উঠল বঙ্গ বিজেপির ‘আদি’ গোষ্ঠীর মিলনক্ষেত্র। রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, এমনকি দল থেকে সাসপেন্ডেড রীতেশ তেওয়ারি-ও হাজির ছিলেন সেখানে। দলের যুব মোর্চার একঝাঁক নেতা এবং সোশ্যাল মিডিয়া আহ্বাহক সপ্তর্ষি চৌধুরিও এই জমায়েতে উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গ বিজেপিতে চলা আদি বনাম নব্য দ্বন্দ্বের মধ্যে এই উপস্থিতি এক নতুন রাজনৈতিক বার্তা দিচ্ছে।
শমীক ভট্টাচার্যের উপস্থিতির তাৎপর্য
রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বর্তমানে দলে গুরুত্বহীন হয়ে থাকা এক নেতার বাড়িতে শমীক ভট্টাচার্য, রাহুল সিনহা এবং লকেটদের মতো হেভিওয়েটদের একসঙ্গে আসা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কিছুদিন আগেই শমীক ভট্টাচার্য দলের পুরনো নেতাদের গুরুত্বের কথা স্মরণ করিয়ে বর্তমান ক্ষমতাসীন শিবিরের দিকে বার্তা দিয়েছিলেন।
বিশেষত, সুকান্ত মজুমদারের জমানা বদলের পর এই একজোট হওয়ার ছবি, বঙ্গ বিজেপিতে একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করা ‘নব্য ও তৎকাল’ নেতাদের উদ্দেশেই একটি বড় হুঁশিয়ারি বলে মনে করা হচ্ছে। পুরনো এবং অভিজ্ঞ নেতারা যে এখনো দলের প্রতি দায়বদ্ধ এবং একত্রিত হওয়ার ক্ষমতা রাখেন, তারই ইঙ্গিত এই জমায়েত।
নীরব সংগঠক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতি
তবে এই জমায়েতের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি ছিল বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতি। যিনি বর্তমানে আরএসএসের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী।
দিলীপ ঘোষের জমানায় সুব্রত চট্টোপাধ্যায় ছিলেন রাজ্য বিজেপির সংগঠনের প্রধান। দিলীপ ও সুব্রত জুটি ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বাংলায় বিপুল সাফল্য এনে দিয়েছিল। বর্তমানে দলীয় কাঠামো থেকে দূরে থাকা এই সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতি ‘আদি বিজেপি’ শিবিরের নতুন করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তাকে আরও জোরদার করল।