ভোরবেলা কেঁপে উঠলো উত্তর-পূর্ব ভারত! মণিপুর, নাগাল্যান্ড সহ একাধিক রাজ্যে ৪.৭ তীব্রতার ভূমিকম্প

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যে ভূমিকম্পের শক্তিশালী ঝাঁকুনি অনুভূত হয়। ন্যাশনাল সেন্টার অফ সিসমোলজি (NCS) অনুসারে, রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৭।

ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল মণিপুরের উখরুলে, যা ইম্ফল থেকে ২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। কেন্দ্রটি ভূপৃষ্ঠের ১৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল। মণিপুর ছাড়াও নাগাল্যান্ড এবং আসামের মতো রাজ্যগুলিতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। পশ্চিমবাংলা থেকে শুরু করে ভুটান পর্যন্ত এই ঝাঁকুনি ছড়িয়ে পড়েছিল বলে খবর। আতঙ্কে মানুষ ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। তবে, এখনও পর্যন্ত কোথাও প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর নেই।

মহারাষ্ট্র ও তিব্বতেও কম্পন

উত্তর-পূর্বের পাশাপাশি, মঙ্গলবার গভীর রাতে (১২টা ০৯ মিনিট) মহারাষ্ট্রের সাতারায়ও ভূমিকম্পের মৃদু কম্পন অনুভূত হয়। এর কেন্দ্র ছিল কোলাপুর থেকে ৯১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে, ভূপৃষ্ঠের মাত্র ৫ কিলোমিটার গভীরে। এরপর, ভোর ৪টা ২৮ মিনিট নাগাদ তিব্বতে ৩.৩ তীব্রতার আরও একটি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়।

সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয়বার উত্তর-পূর্ব ভারত কেঁপে উঠল

জানা যাচ্ছে, চলতি সেপ্টেম্বর মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার উত্তর-পূর্ব ভারতে ভূমিকম্প হলো। এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর আসামের উদালগিরি জেলায় ৫.৮ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল, যার কেন্দ্র ছিল ৫ কিলোমিটার গভীরে। সেই সময়ও পশ্চিমবঙ্গ এবং ভুটান পর্যন্ত কম্পন ছড়িয়েছিল।

কেন আসে ভূমিকম্প?

ভূমিকম্পের প্রধান কারণ হলো পৃথিবীর অভ্যন্তরে থাকা টেকটোনিক প্লেটগুলির ক্রমাগত ধাক্কা লাগা। পৃথিবী মোট ৭টি বড় প্লেটের উপর দাঁড়িয়ে আছে, যা সবসময় ঘুরতে থাকে। যখন এই প্লেটগুলি তীব্রভাবে একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষ করে, তখন ফাটল রেখা (Fault Line) বরাবর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত চাপে প্লেটগুলি ভেঙে গেলে, অভ্যন্তরের সঞ্চিত শক্তি বাইরে আসার পথ খোঁজে। এই চাপমুক্তিই ভূমিকম্প রূপে প্রকাশ পায়।