এবার আর বাড়িওয়ালার অনুমতির দরকার নেই! বিদ্যুৎ নিয়ে বিরাট স্বস্তি পেলেন ভাড়াটিয়ারা

এবার আর বাড়িওয়ালার অনুমতির দরকার নেই! বিদ্যুৎ নিয়ে বিরাট স্বস্তি পেলেন ভাড়াটিয়ারা

দিল্লিতে ভাড়া থাকা ব্যক্তিদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্বস্তিদায়ক রায় দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। এই রায়ের ফলে সেই সব ভাড়াটিয়ারা উপকৃত হবেন, যারা বিদ্যুৎ খরচ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাড়িওয়ালার অযাচিত হস্তক্ষেপের শিকার হচ্ছেন।

আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, এখন থেকে কোনো ভাড়াটিয়া যদি তার বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ অনুযায়ী লোড কমাতে চায়, তাহলে তাকে আর বাড়িওয়ালার অনুমতি বা NOC (নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট) নিতে হবে না। বিচারপতি মিনি পুষ্করণার একক বেঞ্চের এই রায়ে বলা হয়েছে, বিদ্যুতের প্রকৃত গ্রাহক হলেন ভাড়াটিয়া, তাই লোড কমানোর সম্পূর্ণ অধিকার তাঁরই। আদালত আরও জানায় যে, কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বেশি লোডের কারণে মোটা বিল মেটানো শুধু অযৌক্তিকই নয়, বরং অন্যায়ও।

আনসাল টাওয়ারের মামলা থেকেই এই ঐতিহাসিক রায়
এই আদেশটি দিল্লির আনসাল টাওয়ারে বসবাসকারী এক ভাড়াটিয়ার আবেদনের ভিত্তিতে এসেছে। ওই ভাড়াটিয়া অভিযোগ করেছিলেন যে, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদের কারণে তিনি মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। তাঁর ফ্ল্যাটের বিদ্যুৎ মিটারটি ১৬ KVA লোডে চলছিল, যদিও তাঁর প্রকৃত ব্যবহার ছিল অনেক কম। এর ফলে তাঁকে অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে হচ্ছিল। তিনি লোড কমানোর জন্য বিদ্যুৎ কোম্পানি BSES-এর কাছে আবেদন করলে, বাড়িওয়ালার অনুমতির অভাবের কারণে সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়।

হাইকোর্ট ভাড়াটিয়ার আবেদনকে সঠিক বলে মনে করে BSES-কে নির্দেশ দিয়েছে যে, চার সপ্তাহের মধ্যে লোড কমানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। আদালত এই বিষয়ে BSES-এর যুক্তিকেও খারিজ করে দিয়েছে এবং এটিকে ‘অযাচিত বাধা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। এই রায় শুধুমাত্র বিদ্যুৎ ব্যবহারের অধিকার সম্পর্কিত, এর সঙ্গে সম্পত্তির মালিকানার বিবাদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত সারা দেশের ভাড়াটিয়াদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে, যা তাদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করবে।