চলন্ত ট্রেনে মহালয়া, অভিনব আয়োজনে তাক লাগিয়ে দিল আলিপুরদুয়ারের সংস্থা, কেন এই উদ্যোগ

অন্যান্য বছরের মতোই এবারও আলিপুরদুয়ারের একটি সাংস্কৃতিক সংস্থা মহালয়ার সকালে এক ভিন্নধর্মী আয়োজনে দেবীপক্ষকে স্বাগত জানাল। রবিবার শিলিগুড়ি-বামনহাট প্যাসেঞ্জার ট্রেনে ‘সংস্কৃতি যাত্রা’-র আয়োজন করে আলিপুরদুয়ার সাংস্কৃতিক সংস্থা। গোটা ট্রেনটিকে ফুল ও বেলুন দিয়ে সাজিয়ে, তার মধ্যে নাচ-গান ও অভিনয়ের মাধ্যমে মহালয়া পালন করা হয়।
ট্রেনটি আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে যাত্রা শুরু করে এবং বাংলাদেশ সীমান্তের বামনহাট স্টেশনে যাওয়ার পথে প্রতিটি স্টেশনে থামে। আর এই সুযোগে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে হাজির যাত্রীদের সামনেই সংস্থার সদস্যরা মহিষাসুরমর্দিনীর অভিনয় করে দেখান, যা দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন শত শত মানুষ। এক্কেবারে চলন্ত ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্মে নেমে এই অসুর বধের দৃশ্য দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
১৬ বছরের ঐতিহ্য
আলিপুরদুয়ার সাংস্কৃতিক সংস্থার সম্পাদক আশ্চর্য মল্লিক জানান, ২০০৯ সাল থেকে তারা এই ধরনের অনুষ্ঠান করে আসছেন এবং এটি তাদের ১৬তম আয়োজন। তিনি বলেন, “আমরা আগামী বছর পুরো রাজ্যজুড়ে এই অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা করছি। স্টেশনে স্টেশনে মানুষের উচ্ছ্বাস দেখে আমরা আপ্লুত। ট্রেনের ভিতরেও গান-বাজনা এবং মহালয়ার আবাহন এক অন্যরকম অনুভূতি দিয়েছে।”
এই অভিনব আয়োজন দেখতে সপরিবারে আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনে হাজির হয়েছিলেন স্থানীয় বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল, যিনি এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। রেল কর্তৃপক্ষের সহায়তায় এই আয়োজন সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার সদস্যরা। এই ধরনের অভিনব উদ্যোগে সাধারণ মানুষ যে কতটা খুশি, তার প্রমাণ মিলেছে স্টেশনে স্টেশনে ভিড় দেখে।