রুমমেটের সঙ্গে ঝগড়ার জের? নাকি বর্ণবিদ্বেষের শিকার? মার্কিন পুলিশের গুলিতে নিহত ভারতীয় যুবক, তদন্তের দাবি পরিবারের

ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টা ক্লারায় মার্কিন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবক। ৩০ বছর বয়সী মহম্মদ নিজামুদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ তুলেছে তাঁর পরিবার। এই ঘটনা ভারত-সহ আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

জানা গেছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর নিজামুদ্দিনের সাথে তার রুমমেটের ঝগড়া হয়। ঠিক কী কারণে এই ঝামেলা শুরু হয়েছিল তা এখনও জানা যায়নি। তবে সেই ঘটনার সূত্র ধরেই পুলিশের গুলিতে নিজামুদ্দিনের মৃত্যু হয়।

তবে এই ঘটনা নিয়ে ভিন্ন মতও উঠে আসছে। একটি সংবাদ সংস্থা এনডিটিভি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্ণবিদ্বেষের কারণেই নিজামুদ্দিনকে টার্গেট করা হয়েছিল। এই মর্মান্তিক ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।

মৃত নিজামুদ্দিনের বাবা, মহম্মদ হাসনুদ্দিন, ওয়াশিংটন ডিসি-তে ভারতীয় দূতাবাস এবং সান ফ্রান্সিসকোর কনস্যুলেট জেনারেলকে চিঠি দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার প্রায় ১৫ দিন পর, ১৮ সেপ্টেম্বর, নিজামুদ্দিনের এক বন্ধুর কাছ থেকে ফোন পেয়ে তিনি ছেলের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন। হাসনুদ্দিন বলেন, “আজ সকালে (গত বৃহস্পতিবার) আমি জানতে পারি ওকে সান্টা ক্লারা পুলিশ গুলি করে মেরেছে এবং ওর দেহ সান্টা ক্লারা হাসপাতালে রয়েছে। পুলিশ কেন ওকে গুলি মেরেছে আমি জানি না।”

ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সহায়তায় নিজামুদ্দিনের মরদেহ তাঁর পৈতৃক ভিটে মেহবুবনগরে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। নিজামুদ্দিন ২০১৬ সালে ফ্লোরিডায় পড়াশোনার জন্য গিয়েছিলেন। সেখানে এমএস করার পর সফটওয়্যার পেশাদার হিসাবে কাজ করছিলেন। সম্প্রতি তিনি কাজের সূত্রে পদোন্নতি পেয়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে যান।

এই ঘটনা কি শুধুই একটি দুর্ঘটনা, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র? পুলিশ কেন নিজামুদ্দিনকে গুলি করল, এই প্রশ্ন এখন সবার মুখে। ঘটনার তদন্তের পর আসল সত্যিটা সামনে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।